আন্তর্জাতিক

বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধে যেতে চায় না ভারত

ডেস্ক রিপোর্ট ॥ সম্প্রতি বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বাণিজ্যিক উত্তেজনা বাড়লেও ভারত স্পষ্ট করেছে, তারা কোনোভাবেই বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধে জড়াতে চায় না। বৃহস্পতিবার টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে ভারতের একাধিক সরকারি সূত্রের বরাতে এ তথ্য উঠে এসেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকা থেকে যেসব বাণিজ্যিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তার পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার পরিকল্পনা আপাতত দিল্লির নেই। বরং ভারত চায় আলোচনার মাধ্যমে উত্তেজনা কমিয়ে দুই দেশের মধ্যে স্বাভাবিক বাণিজ্যিক পরিবেশ বজায় রাখতে।

ভারতীয় সূত্রের দাবি, ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিলের সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের এক উপদেষ্টার উত্তর-পূর্বাঞ্চল নিয়ে মন্তব্যের পর নেওয়া হয়নি। এটি পরিকল্পিতভাবে অনেক আগেই সিদ্ধান্তে পরিণত হয়েছে। ভারত বলছে, বিমানবন্দর ও স্থলবন্দরের অতিরিক্ত চাপ কমাতেই ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা তুলে নেওয়া হয়েছে। তবে এই সিদ্ধান্তে নেপাল ও ভুটানে বাংলাদেশের পণ্য পরিবহনে কোনো সমস্যার আশঙ্কা নেই বলেও আশ্বস্ত করেছে দিল্লি।

এর আগে ভারতের কিছু সংবাদমাধ্যম দাবি করে, বাংলাদেশের একজন শীর্ষ উপদেষ্টার বিতর্কিত মন্তব্যের জের ধরেই এই সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। তবে টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন তা নাকচ করে দিয়ে জানায়, এই পদক্ষেপ পূর্বপরিকল্পিত এবং আঞ্চলিক ভারসাম্য রক্ষার উদ্দেশ্যে নেওয়া হয়েছে।

ভারতীয় সূত্র আরও জানায়, গত মার্চে বাংলাদেশ নিজেই তিনটি বন্দর বন্ধ করে এবং স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানি বন্ধ করে দেয়। যদিও নিষেধাজ্ঞার কার্যকারিতা শুরু হয়েছে চলতি মাসেই, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সিদ্ধান্তে।

তারা মনে করে, জানুয়ারিতে বেনাপোল কাস্টমসে বাংলাদেশ কর্তৃক সতর্কতা জারি ভারতের দৃষ্টিতে একটি রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, যা দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ককে ব্যাহত করতে পারে।

আরও উল্লেখ করা হয়, ভারতীয় কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশের পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপনকে কৌশলগত পদক্ষেপ হিসেবে দেখছে। টাইমস অব ইন্ডিয়ার দাবি, ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ পাকিস্তান ট্রেডিং কর্পোরেশন থেকে ৫০ হাজার টন চাল আমদানি করেছে, যা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে বলে ভারতের আশঙ্কা।

তবে সবশেষে ভারতীয় কর্মকর্তারা স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, তারা চাইছেন উত্তেজনা না বাড়িয়ে আলোচনার টেবিলে ফিরে আসা হোক। আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও বাণিজ্যিক সহযোগিতা ধরে রাখার ব্যাপারে দিল্লি সচেষ্ট থাকবে।

মতামত দিন