আন্তর্জাতিক

পাকিস্তানের পাল্টা হামলায় তিন ঘণ্টায় পিছু হটে ভারত !

আন্তর্জাতিক ডেস্ক ॥ কাশ্মীরের পেহেলগামে ২২ এপ্রিলের সন্ত্রাসী হামলার পর টানা উত্তেজনার মধ্য দিয়ে যাওয়া ভারত ও পাকিস্তান অবশেষে ১০ মে যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছেছে। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় এই সংঘাত বন্ধ হলেও দুই দেশই নিজেদের বিজয় দাবি করছে। তবে আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই বিরতি এসেছে ওয়াশিংটনের কূটনৈতিক চাপে, যাতে দিল্লি মুখ রক্ষা করতে পারে।

ভারতের দাবি, তারা ৬ মে মধ্যরাতে ‘অপারেশন সিন্দুর’ নামে আজাদ কাশ্মিরে সফল হামলা চালায়। পাল্টা জবাবে পাকিস্তানও ‘অপারেশন বুনিয়ান-উম-মারসুস’ চালু করে ২৬টি ভারতীয় সামরিক স্থাপনায় আঘাত হানার দাবি করেছে।

১৬ মে করাচির সিন্ধু পরিষদের অধিবেশনে পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মুরাদ আলী শাহ বলেন, “মাত্র তিন ঘণ্টার মধ্যেই ভারতীয় বাহিনীকে পিছু হটতে বাধ্য করা হয়েছে।” তিনি আরও দাবি করেন, পাকিস্তান ৮৫টি ভারতীয় ড্রোন ভূপাতিত করেছে এবং উল্লেখযোগ্য সামরিক ক্ষয়ক্ষতি ঘটিয়েছে।

মুরাদ বলেন, ১০ মে রাতে অপারেশন শুরু করার পরপরই মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ফোন করে পাকিস্তানকে জানান যে ভারত যুদ্ধ থামাতে চায়। তিনি বলেন, সিন্ধু প্রদেশে এক বেসামরিক নাগরিক নিহত হওয়ার পর পাকিস্তান দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানায় এবং প্রতিরোধ গড়ে তোলে।

ভারত এই অভিযোগ ও পাকিস্তানের দাবি স্পষ্টভাবে অস্বীকার না করলেও এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে নিরব ভূমিকা নিয়েছে, যা এই সংঘাতের রাজনৈতিক স্পর্শকাতরতা নির্দেশ করে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে আপাতত উত্তেজনা কমলেও ভবিষ্যতে পরিস্থিতি আবারও ঘোলাটে হতে পারে, কারণ সমস্যার মূল — কাশ্মীর ইস্যু — এখনো অমীমাংসিত।

পারমাণবিক শক্তিধর দুই দেশের এমন মুখোমুখি অবস্থান বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ তৈরি করেছে। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সরাসরি হস্তক্ষেপে আপাত শান্তি ফিরেছে উপমহাদেশে।

এ সংঘাত এড়াতে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক চাপ আরও বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন বিভিন্ন মানবাধিকার ও শান্তি সংগঠন।

মতামত দিন