নেপালের পরিস্থিতি ভারতের জন্য সতর্কবার্তা: সঞ্জয় রউত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক ॥ নেপাল এখন কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ রাজনৈতিক অস্থিরতার মুখোমুখি। জেন-জি আন্দোলনের জোয়ারে ভেসে গেছে পিকে শর্মা অলির সরকার। পদত্যাগপত্র লিখে হেলিকপ্টারে পালিয়ে গেছেন প্রধানমন্ত্রী। গণপিটুনির শিকার হয়েছেন অর্থমন্ত্রী। আতঙ্কে সরকারের অন্যান্য মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যরা নিজেদের গা-ঢাকা দিয়েছেন। দেশজুড়ে অরাজকতা ও দাঙ্গার পরিস্থিতি বিরাজ করছে।ভারতের রাজনৈতিক মহলেও এই পরিস্থিতি নিয়ে সতর্কবার্তা দিয়েছেন শিবসেনার এমপি সঞ্জয় রউত। ইকোনমিক টাইমসের প্রতিবেদনে তিনি বলেছেন, নেপালের ‘আগুনের সূত্রপাত’ যদি ভারতের সীমান্তে পৌঁছায়, তা বিপজ্জনক হবে। তিনি উল্লেখ করেছেন, নেপালে দুর্নীতি, স্বৈরাচারী শাসন এবং স্বজনপ্রীতির বিরুদ্ধে জনরোষের ফলশ্রুতিতে এই অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে। তবে ভারত এখনও শান্ত এবং সংহত রয়েছে। সঞ্জয় রউতের মতে, ভারত টিকে আছে শুধুমাত্র মহাত্মা গান্ধীর অহিংসা নীতি ও আদর্শের কারণে।
তিনি আরও বলেন, মোদি সরকার দেশের ৮০ কোটি মানুষকে বিনামূল্যে রেশন প্রদান করছে। এটি দেখায় যে দেশে এখনও দরিদ্র মানুষ আছে। নেপালের প্রেক্ষাপটের সঙ্গে মিলিয়ে তিনি ভারতের অর্থনীতির কিছু ব্যর্থতাকেও তুলে ধরেছেন। তিনি বলছেন, ভারতের টাকার কিছু অংশ বিদেশে চলে যাচ্ছে এবং দেশের সম্ভাব্য তরুণ প্রজন্মের সুযোগ হারাচ্ছে।
সঞ্জয় রউত ভারতের পররাষ্ট্রনীতির ব্যর্থতাও আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়েছেন। নেপাল একসময় ভারতের বন্ধু দেশ হিসেবে বিবেচিত ছিল। সংকটকালে ভারতের দিক থেকে যথাযথ সমর্থন না থাকার কারণে এই সম্পর্কের ক্ষতি হয়েছে। তিনি মন্তব্য করেছেন, নেপালের বর্তমান পরিস্থিতি ভারতের জন্য সতর্কবার্তা হিসেবে কাজ করা উচিত। রাজনৈতিক নেতাদের সতর্ক থাকতে হবে যাতে দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির বিরুদ্ধে জনরোষ দেশকে অস্থিরতার দিকে না ঠেলে দেয়।
সঞ্জয় রউতের এই মন্তব্য রাজনৈতিক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য সরকারের নীতি ও জনসচেতনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নেপালের উদাহরণ প্রমাণ করছে, দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতিকে উপেক্ষা করলে সাধারণ জনগণের রোষ বিপজ্জনক আকার ধারণ করতে পারে।
মতামত দিন