আন্তর্জাতিক

ট্রাম্পের হস্তক্ষেপে যুদ্ধবিরতিতে যাচ্ছে ভারত-পাকিস্তান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক ॥ দক্ষিণ এশিয়ার রাজনৈতিক অঙ্গনে চমকপ্রদ ঘটনা হিসেবে উঠে এসেছে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ ও তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতির ঘোষণা। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শনিবার নিজের ট্রুথ সোশ্যালে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জানান, মার্কিন মধ্যস্থতায় রাতভর আলোচনা শেষে দুই প্রতিবেশী দেশ এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে।

ট্রাম্প বলেন, “এই যুদ্ধবিরতি হলো সাধারণ বুদ্ধিমত্তা ও রাজনৈতিক দূরদৃষ্টির প্রতিফলন।” তার এই বক্তব্য আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহলে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। একইসঙ্গে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ট্রাম্পের বিবৃতির পরপরই বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, ভারত ও পাকিস্তানের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে গত ৪৮ ঘণ্টায় একাধিকবার আলোচনা হয়েছে এবং উভয় দেশ একটি নিরপেক্ষ স্থানে বৈঠকে বসতে সম্মত হয়েছে।

রুবিও আরও জানান, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ, দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, সেনাপ্রধান ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে আলোচনা করেছেন তিনি। এই আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে এবং তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে দুই দেশ শান্তির পথে প্রথম পদক্ষেপ নিয়েছে।

যদিও এখনো পর্যন্ত ভারত কিংবা পাকিস্তান সরকার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো বিবৃতি আসেনি, তবুও যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ও বর্তমান শীর্ষ নেতাদের বক্তব্য থেকে স্পষ্ট, কূটনৈতিক অঙ্গনে এক নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হয়েছে।

বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের এই সক্রিয় কূটনৈতিক উদ্যোগ দক্ষিণ এশিয়ার দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতার পথে একটি কার্যকর সূচনা হতে পারে। অতীতে সীমান্ত সংঘর্ষ ও রাজনৈতিক উত্তেজনা এ অঞ্চলের শান্তি ও নিরাপত্তাকে বারবার হুমকির মুখে ফেলেছে। সেই প্রেক্ষাপটে এই যুদ্ধবিরতি শুধু সাময়িক বিরতি নয়, বরং তা ভবিষ্যতের জন্য একটি কৌশলগত পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে।

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ইতোমধ্যেই এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে। এখন অপেক্ষা, ভারত ও পাকিস্তান সরকার কীভাবে আনুষ্ঠানিকভাবে এই সিদ্ধান্তকে বাস্তবায়নে এগিয়ে যায়।

মতামত দিন