আন্তর্জাতিক

কিম জং উনের পারমাণবিক হুঁশিয়ারি আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা শঙ্কা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক ॥ উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক হুমকি ও সামরিক উত্তেজনা নতুন করে বিশ্বের নজরে এসেছে। দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ সামরিক মহড়াকে কেন্দ্র করে দেশটির নেতা কিম জং উন পারমাণবিক কর্মসূচি বাড়ানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। মঙ্গলবার, নৌবাহিনীর একটি জাহাজ পরিদর্শনকালে কিম এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক মহড়া “যুদ্ধ উসকানি” হিসেবে বিবেচিত।

উলচি ফ্রিডম শিল্ড নামের বার্ষিক মহড়া এই সপ্তাহে দক্ষিণ কোরিয়ায় শুরু হয়েছে। ১১ দিনব্যাপী চলা এই মহড়ার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে উত্তর কোরিয়ার ক্রমবর্ধমান পারমাণবিক ক্ষমতার মোকাবিলা করা। যদিও সিউল ও ওয়াশিংটন দাবি করছে, মহড়া সম্পূর্ণরূপে প্রতিরক্ষামূলক, পিয়ংইয়ং এটিকে আক্রমণের প্রস্তুতি হিসেবে দেখছে।

চলতি মাসের শেষের দিকে ওয়াশিংটনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি পারস্পরিক আলোচনায় উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষার বিষয়ে গুরুত্বসহকারে আলোচনা করবেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের পদক্ষেপের মাধ্যমে কিম জং উন পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণকে গ্রহণ করতে অস্বীকার করছেন এবং অস্ত্র বাড়ানোর দৃঢ় ইচ্ছা প্রকাশ করছেন।

গত বছরের গবেষণা অনুযায়ী, উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক ওয়ারহেডের সংখ্যা প্রায় ৫০টি হতে পারে, যদিও পূর্বে ধারণা করা হয়েছিল ৯০টির মতো উপাদান রয়েছে। একই সঙ্গে, দেশটি তার নৌ সক্ষমতাও বাড়াচ্ছে। পাবলিক ব্রডকাস্ট কেসিএনএ জানিয়েছে, আগামী বছরের অক্টোবরের মধ্যে তারা ৫ হাজার টনের চো হিওন শ্রেণীর তৃতীয় ডেস্ট্রয়ার জাহাজ নির্মাণ করবে। এ জাহাজগুলোর জন্য ক্রুজ এবং বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রও পরীক্ষা করা হচ্ছে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, কিম জং উনের সামরিক হুঁশিয়ারি আন্তর্জাতিক উত্তেজনা বাড়াতে পারে এবং পারমাণবিক নিষ্পত্তি আলোচনা আরও জটিল করতে পারে।

মতামত দিন