কাশ্মীর সীমান্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ৫০ ভারতীয় সেনা নিহতের দাবি পাকিস্তানের
আন্তর্জাতিক ডেস্ক ॥ ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে নতুন করে সামরিক উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। কাশ্মীর সীমান্ত ঘিরে শুরু হওয়া এই সংঘাত এখন দু’দেশের ভেতরে বিস্তৃত হয়েছে। নয়াদিল্লির অভিযোগ, পাকিস্তান একযোগে ভারতের অন্তত ১৫টি শহরে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে। এর পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ভারতও পাকিস্তানের সামরিক স্থাপনায় কড়া আক্রমণ চালিয়েছে।বৃহস্পতিবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানায়, পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার পাকিস্তানের সংসদে ভাষণ দিয়ে দাবি করেন, সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ রেখায় সামরিক সংঘর্ষে ভারতের অন্তত ৪০ থেকে ৫০ জন সেনা নিহত হয়েছে। তবে ভারত এই দাবির ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করেনি।
ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দাবি, পাকিস্তানের হামলার জবাবে লাহোরসহ একাধিক শহরের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় নিশানা করে হামলা চালানো হয়েছে। পাকিস্তানের ছোড়া বেশ কিছু ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ভারতের আকাশেই ধ্বংস করা হয়েছে, যেগুলোর মধ্যে অনেকগুলো রাশিয়া থেকে কেনা এস-৪০০ মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেমের মাধ্যমে ভূপাতিত করা হয়।
ভারতীয় সেনাবাহিনী জানায়, শ্রীনগর, পাঠানকোট, লুধিয়ানা, অমৃতসর, চণ্ডীগড়সহ একাধিক শহরে এস-৪০০ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করা হয়েছে। এই ব্যবস্থা পাকিস্তান থেকে ছোড়া দীর্ঘপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র সফলভাবে প্রতিহত করছে।
এর আগে মঙ্গলবার গভীর রাতে ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামে একটি অভিযানে ভারত পাকিস্তান এবং পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরের নয়টি শহরে সমন্বিত হামলা চালায়। এই আক্রমণটি পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার প্রতিশোধ হিসেবে চালানো হয়।
পাকিস্তানও পাল্টা জবাবে ভারতীয় যুদ্ধবিমান ও ড্রোন গুলি করে নামিয়েছে বলে দাবি করেছে। আইএসপিআর জানায়, জম্মু, আখনুর ও অবন্তীপুর এলাকায় ভারতের পাঁচটি যুদ্ধবিমান ও একটি ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে। পাকিস্তানের বাহাওয়ালপুর অঞ্চলে ভারতীয় ড্রোন হামলায় নারী-শিশুসহ ১৩ জন নিহত হয়েছেন বলেও জানানো হয়েছে, যা সাধারণ নাগরিকদের ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা আরও বাড়িয়ে তুলছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এ সংঘর্ষ যদি আরও ঘনীভূত হয়, তবে তা দক্ষিণ এশিয়ায় বড় ধরনের সামরিক সংকট ডেকে আনতে পারে। আন্তর্জাতিক মহল দুই দেশকে শান্তিপূর্ণ আলোচনার দিকে এগোতে আহ্বান জানাচ্ছে।
মতামত দিন