আন্তর্জাতিক

কাশ্মীর ইস্যুর ছায়ায় ফের ভারত-পাক উত্তেজনা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক ॥ যুদ্ধবিরতির আংশিক পরিবেশে শান্তির আশার আলো দেখা দিলেও ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কূটনৈতিক উত্তেজনা আবারও নতুন রূপে ফিরে এসেছে। সর্বশেষ পরস্পরের হাইকমিশনের কর্মকর্তাকে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দেশত্যাগের নির্দেশ দেওয়ার ঘটনায় দুই দেশের সম্পর্ক ফের স্নায়ুচাপে পড়েছে।

মঙ্গলবার পাকিস্তান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, ইসলামাবাদে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনের এক কর্মকর্তা তার মর্যাদার সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ তৎপরতায় জড়িয়ে পড়েছেন—এমন অভিযোগে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তাকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দেশ ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে পাকিস্তানে নিযুক্ত ভারতীয় চার্জ দ্য’অ্যাফেয়ার্সকে ডেকে এনে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিবাদ জানানো হয়।

এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় ভারতও দ্রুত পাল্টা পদক্ষেপ নেয়। নয়াদিল্লিতে নিযুক্ত পাকিস্তান হাইকমিশনের এক কর্মকর্তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে ভারত সরকার। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অভিযোগ করে, ওই কর্মকর্তা তার কূটনৈতিক দায়িত্বের বাইরে গিয়ে কিছু কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন, যা আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক রীতিনীতির পরিপন্থী। তবে ভারত তার অভিযোগের বিস্তারিত প্রকাশ করেনি।

এই ঘটনার পর আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এটি দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘদিনের কাশ্মীর ইস্যু, সীমান্ত উত্তেজনা এবং পারস্পরিক সন্দেহ-অবিশ্বাসের নতুন একটি বহিঃপ্রকাশ। বিশেষজ্ঞদের মতে, এমন সিদ্ধান্ত পারস্পরিক উত্তেজনাকে প্রশমিত করার বদলে আরও উসকে দিতে পারে।

ভারত-পাকিস্তান বৈরিতা নতুন কিছু নয়। সীমান্ত সংঘর্ষ, সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে একে অপরকে দায়ী করা, কাশ্মীর প্রসঙ্গসহ নানা ইস্যুতে এই দুই পরমাণু শক্তিধর দেশের মধ্যে উত্তেজনার মাত্রা বিভিন্ন সময় চরমে পৌঁছেছে। সাধারণ জনগণ শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান চাইলেও রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক স্তরে প্রতিদানমূলক পদক্ষেপ সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে।

বর্তমান পরিস্থিতিতে দু'দেশের মধ্যে সংযম ও গঠনমূলক সংলাপের ওপর গুরুত্ব আরোপ করছেন বিশ্লেষকরা। কারণ, সামান্য উত্তেজনাও বৃহত্তর সংকটে রূপ নিতে পারে, যার প্রভাব পুরো উপমহাদেশের স্থিতিশীলতার ওপর পড়তে পারে।

মতামত দিন