আন্তর্জাতিক

কাশ্মীরে বাড়ছে উত্তেজনা, বাংলাদেশ সীমান্তে সতর্কতা জারি ভারতের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক ॥ পেহেলগামের ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা তুঙ্গে পৌঁছেছে। এর মধ্যে নিয়ন্ত্রণ রেখায় একাধিকবার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে। দুই দেশই সেনা প্রস্তুতি বাড়িয়েছে এবং পরস্পরের বিরুদ্ধে কঠোর বক্তব্য দিয়েছে।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সম্প্রতি তিন বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে বৈঠকে সীমান্তে অভিযান চালানোর পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছেন। পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার জানান, ভারতের পক্ষ থেকে ২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে সীমিত আকারে সামরিক অভিযান চালানো হতে পারে—এমন বিশ্বাসযোগ্য গোয়েন্দা তথ্য তাদের হাতে এসেছে।

এদিকে সীমান্তে ভারতের পক্ষ থেকে নজরদারি ও টহল বাড়ানোর পাশাপাশি আধাসামরিক বাহিনীকেও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। উত্তর-পশ্চিম সীমান্তের পাশাপাশি পূর্বাঞ্চলেও উচ্চ সতর্কতা জারি করেছে নয়াদিল্লি। বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সীমান্তেও বাড়ানো হয়েছে নজরদারি।

গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে সাম্প্রতিক সহিংসতা এবং ওয়াকফ আইন নিয়ে আন্দোলনে সীমান্ত পার হয়ে আসা গোষ্ঠীগুলোর সম্পৃক্ততা রয়েছে। এর ফলে সীমান্তের সুরক্ষা ও অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ আরও বেড়েছে।

পাকিস্তানও পাল্টা অবস্থানে সেনা ও নৌবাহিনীকে প্রস্তুত রেখেছে। সীমান্তের দুই পাশে চলছে কূটনৈতিক চাপ, সামরিক তৎপরতা এবং নিরাপত্তা বাহিনীর উচ্চ প্রস্তুতি।

দুই প্রতিবেশী দেশের এই উত্তেজনা শুধু উপমহাদেশেই নয়, আন্তর্জাতিক মহলেও উদ্বেগ তৈরি করেছে। পরিস্থিতি আরও জটিল হলে তা আঞ্চলিক নিরাপত্তায় বড় হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

মতামত দিন