আন্তর্জাতিক

উত্তেজনার মধ্যেই পাকিস্তানে পৌঁছাল তুরস্কের যুদ্ধজাহাজ, ভারতের উদ্বেগ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক ॥ পাকিস্তান-ভারতের সম্পর্ক যখন আবারও উত্তপ্ত, তখন দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি আরও তীব্র হয়েছে তুর্কি নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ করাচি বন্দরে নোঙর করার ঘটনায়। পাকিস্তান নৌবাহিনী জানিয়েছে, তুরস্কের 'টিসিজি বুয়ুকাদা' নামের যুদ্ধজাহাজটি করাচি বন্দরে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়েছে এবং এটি কয়েকদিন সেখানে অবস্থান করবে।

এই সফরের অংশ হিসেবে, তুর্কি নাবিকরা পাকিস্তান নৌবাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে যৌথ সামুদ্রিক মহড়ায় অংশ নেবেন, যা দুই দেশের সামুদ্রিক কৌশলগত সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করবে। পাকিস্তান এই মহড়ার মাধ্যমে তার প্রতিরক্ষা সহযোগিতাকে দৃঢ় করতে চায়। তবে ভারতের পক্ষ থেকে এই সফর নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। ভারতের গণমাধ্যমে এই ঘটনাটি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে এবং কূটনৈতিক মহলে তা নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।

বিশেষ করে, যখন জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা ঘটেছে এবং ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক নতুন করে তিক্ততা ধারণ করেছে, তখন করাচি বন্দরে তুরস্কের যুদ্ধজাহাজের উপস্থিতি ভারতীয় জাতীয় নিরাপত্তার জন্য একটি বড় হুমকি হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। ভারত মনে করছে, তুরস্ক পাকিস্তানের সঙ্গে কৌশলগতভাবে সম্পর্ক আরও গভীর করছে, যা দক্ষিণ এশিয়ায় ভারসাম্য নষ্ট করতে পারে।

তবে তুরস্ক দাবি করেছে, এই সফর কেবল দুই দেশের মধ্যে নিয়মিত প্রতিরক্ষা সহযোগিতার অংশ হিসেবে আয়োজন করা হয়েছে। তুরস্ক দীর্ঘদিন ধরে পাকিস্তানকে সাবমেরিন, ড্রোনসহ বিভিন্ন সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করে আসছে এবং উভয় দেশ নিয়মিত যৌথ মহড়া পরিচালনা করে।

এদিকে, ভারতের উদ্বেগ আরও বেড়েছে যখন তুর্কি সামরিক বিমান সম্প্রতি করাচিতে অবতরণ করেছে। যদিও তুরস্ক জানিয়েছে যে, বিমানটি শুধুমাত্র জ্বালানি সংগ্রহের উদ্দেশ্যে ছিল, অস্ত্র সরবরাহের কোনো উদ্দেশ্য ছিল না। তবে এই ঘটনাগুলো ভারতের নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ভারত, পাকিস্তান এবং তুরস্কের মধ্যে এই বর্তমান গতি-প্রকৃতি ভবিষ্যতে আঞ্চলিক নিরাপত্তা এবং কূটনৈতিক ভারসাম্যকে প্রভাবিত করতে পারে।

মতামত দিন