আন্তর্জাতিক

ইসরায়েলি হামলায় নিহত ইয়েমেনের হুতি প্রধানমন্ত্রী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক ॥ ইয়েমেনের রাজধানী সানায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় হুতি বিদ্রোহী সরকারের প্রধানমন্ত্রী আহমেদ আল-রাহাউই নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে সংঘটিত এই হামলায় তার সঙ্গে আরও কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তার মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম আল-জুমহুরিয়া জানায়, সানার একটি অ্যাপার্টমেন্টে বোমা বর্ষণ করলে সেখানেই প্রাণ হারান প্রধানমন্ত্রী।

অন্য সংবাদমাধ্যম এডেন আল-ঘাদ নিশ্চিত করেছে, আল-রাহাউই ছাড়াও তার ঘনিষ্ঠ কয়েকজন উপদেষ্টা ও সহযোগী একই হামলায় নিহত হন। তবে হতাহতের সঠিক সংখ্যা এখনও স্পষ্ট নয়। ইসরায়েলের হিব্রু সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, হামলার মূল লক্ষ্য ছিল হুতিদের উচ্চপদস্থ রাজনৈতিক ও সামরিক নেতৃত্ব।

টাইমস অব ইসরায়েল দাবি করেছে, প্রতিরক্ষামন্ত্রীসহ অন্তত দশজন শীর্ষ কর্মকর্তাকে টার্গেট করা হয়েছিল। তবে প্রধানমন্ত্রী আল-রাহাউইয়ের ওপর আলাদা করে নির্দিষ্ট হামলা চালানো হয়। সূত্র জানায়, ওই সময় হুতি নেতারা সংগঠনের প্রধান আব্দুল মালেক আল-হুতির ভাষণ শুনছিলেন।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, হামলাটি গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পরিচালিত হয়েছে। যদিও সানা আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার আওতায় ছিল, তবুও ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান সেটি অতিক্রম করে নির্ভুল হামলা চালাতে সক্ষম হয়। হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা এখনো নিশ্চিত করা যায়নি।

২০১৫ সালে ইরান সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীরা রাজধানী সানা দখল করে। এরপর থেকেই সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট ও আন্তর্জাতিক চাপ সত্ত্বেও হুতিরা ক্ষমতায় টিকে আছে। প্রধানমন্ত্রী আহমেদ আল-রাহাউই ছিলেন তাদের প্রশাসনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নেতা। তার মৃত্যু হুতিদের জন্য বড় রাজনৈতিক ধাক্কা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, গাজায় ইসরায়েলের হামলার প্রতিশোধে হুতিরা ড্রোন ও ব্যালিস্টিক মিসাইল নিক্ষেপ করছিল। এই প্রেক্ষাপটে ইসরায়েল তাদের শীর্ষ নেতৃত্বকে টার্গেট করেছে। হামলার পর আন্তর্জাতিক মহল পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং হুতিদের প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপে মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনা আরও বেড়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

মতামত দিন