আন্তর্জাতিক

ইরান-ইসরায়েল দ্বন্দ্বে হস্তক্ষেপের পথে আন্তর্জাতিক শক্তি, তাইফুন জেট পাঠাচ্ছে যুক্তরাজ্য

আন্তর্জাতিক ডেস্ক ॥ মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনার মধ্যে যুক্তরাজ্য আরও যুদ্ধবিমান পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার শনিবার (১৪ জুন) কানাডায় জি-৭ সম্মেলনে অংশ নিতে যাওয়ার পথে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এই ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, এই যুদ্ধবিমানগুলো মধ্যপ্রাচ্যে জরুরি সহায়তার জন্য পাঠানো হচ্ছে, যা ওই অঞ্চলের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা রক্ষার অংশ হিসেবে বিবেচিত।

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর অফিস জানিয়েছে, এই পদক্ষেপের আগে কিয়ার স্টারমার সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন। আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল ইরান-ইসরায়েল সংঘাত, যার ফলে অঞ্চলজুড়ে নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছে। স্টারমার জানান, রয়্যাল এয়ার ফোর্সের (RAF) ‘তাইফুন’ যুদ্ধবিমান ও আকাশ থেকে জ্বালানি সরবরাহকারী ট্যাংকার বিমান মধ্যপ্রাচ্যে মোতায়েন করা হচ্ছে।

এই পদক্ষেপ এমন সময়ে এসেছে, যখন ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে সংঘাত তীব্র আকার ধারণ করেছে। শুক্রবার ভোরে ইসরায়েল ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাসহ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা কেন্দ্রে বিমান হামলা চালায়। এতে অন্তত ৭৮ জন নিহত হন, যাদের মধ্যে ছয়জন ইরানি পারমাণবিক বিজ্ঞানী রয়েছেন। আহত হয়েছেন তিন শতাধিক মানুষ।

পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ইরান ইসরায়েলের অভ্যন্তরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়, যাতে অন্তত ৯ জন নিহত এবং দেড় শতাধিক আহত হয়। এই পাল্টাপাল্টি হামলার ফলে মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে বড় সংঘাতের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সাধারণ জনগণের নিরাপত্তা এখন মারাত্মক হুমকির মুখে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, দুই পক্ষই নিজ নিজ অবস্থানে অনড় থাকায় সংঘাতের দ্রুত অবসান অসম্ভব হয়ে পড়ছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে শান্তি প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানানো হলেও কার্যকর কোনো কূটনৈতিক সমাধান এখনো দৃশ্যমান নয়।

যুক্তরাজ্যের পক্ষ থেকে যুদ্ধবিমান পাঠানো একদিকে যেমন প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা জোরদারের অংশ, অন্যদিকে কৌশলগত অবস্থানও পরিষ্কার করে যে, তারা পরিস্থিতির ওপর সক্রিয় নজর রাখছে। আশা করা হচ্ছে, এই পদক্ষেপ সংঘাত প্রশমনে আন্তর্জাতিক আলোচনার পথ সুগম করবে।

মতামত দিন