প্লাস্টিকের আগ্রাসনে ম্লান আশাশুনির মাদুর শিল্প
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি ॥ আশাশুনির মাদুর শুধু একটি পণ্য নয়, এটি একসময়ের গৌরবময় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। বড়দলের হাট একসময় মাদুরের জন্য প্রসিদ্ধ ছিল, কিন্তু আজ সেই সুনাম অনেকটাই ম্লান হয়ে গেছে। স্থানীয় কারিগররা বলছেন, কাঁচামালের দাম বৃদ্ধি এবং বিক্রয়মূল্য কমে যাওয়ায় অনেকে পেশা বদলে নিতে বাধ্য হচ্ছেন।কাদাকাটি গ্রামের সমাজসেবক সুকুমার বৈরাগী বলেন, “মাদুর আমাদের সংস্কৃতির অংশ। সংরক্ষণের উদ্যোগ এখনই না নিলে অচিরেই হারিয়ে যাবে।” আগে গ্রামের উঠোনে নারী-পুরুষ একসাথে মেলে শুকানো, রঙ করা ও মাদুর বোনার কাজে ব্যস্ত থাকত। এসব মাদুর স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যেত। কিন্তু প্লাস্টিকের পাটির সহজলভ্যতা এবং সরকারি সহায়তার অভাবে আজ এ শিল্প টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাদুর শিল্পে বিনিয়োগ স্থানীয় কর্মসংস্থান তৈরি করবে এবং দেশের হস্তশিল্প খাতকে শক্তিশালী করবে। এ জন্য প্রয়োজন কাঁচামাল উৎপাদনে সহায়তা, বাজারজাতকরণের সুযোগ, প্রদর্শনী আয়োজন এবং বিদেশে রপ্তানির ব্যবস্থা।
আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কৃষ্ণা রায় জানান, “যখন বেসরকারি সংস্থা ও এনজিওগুলো এলাকায় প্রকল্প নেয়, তখন তাদের মাদুর শিল্পীদের সহযোগিতা করার পরামর্শ দেওয়া হয়।” স্থানীয়রা মনে করেন, যদি সরকারি পরিকল্পনা ও বেসরকারি সহযোগিতা একসাথে আসে, তাহলে মাদুর শিল্প আবারো দেশের গর্ব হতে পারে।
মতামত দিন