পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ৯ মাস সেন্টমার্টিন দ্বীপে পর্যটকদের ভ্রমণ নিষিদ্ধ হবে। পূর্বের নিয়ম অনুযায়ী, প্রতিবছর ১ এপ্রিল থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৬ মাস সেন্টমার্টিনে পর্যটকদের ভ্রমণ নিষিদ্ধ ছিল। তবে, এই বছর নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা আরও ৩ মাস বাড়ানো হয়েছে, ফলে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়ে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে এই নিষেধাজ্ঞা।
এর আগে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সেন্টমার্টিনে চার মাস পর্যটকদের ভ্রমণ সীমিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। ফেব্রুয়ারিতে দ্বীপটির পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ সম্পন্ন হবে বলে জানানো হয়। নভেম্বরে সেন্টমার্টিনে রাত্রিযাপনও নিষিদ্ধ করা হয়েছে, এবং ফেব্রুয়ারি থেকে পর্যটকদের যাতায়াত বন্ধ হয়ে যাবে।
এই ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার ফলে দ্বীপের বাসিন্দারা নানা সংকটে পড়তে পারেন বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় পর্যটন ব্যবসায়ীরা। সেন্টমার্টিন হোটেল-মোটেল-রিসোর্ট মালিক সমিতির সভাপতি এম এ আবদুর রহিম জিহাদী জানিয়েছেন, “দ্বীপে পর্যটন ব্যবসার সাথে জড়িত শত শত মানুষ। তাদের জন্য ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দ্বীপ উন্মুক্ত রাখার দাবি জানাচ্ছি।”
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমানও একই দাবি জানিয়ে বলেন, “দ্বীপের মানুষের জীবিকা পর্যটনের ওপর নির্ভরশীল, তাই এই সময়টা বাড়ানোর জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ করছি।”
বর্তমানে, ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত সেন্টমার্টিনগামী জাহাজগুলো চলাচল করতে পারবে, তবে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে পর্যটকদের জন্য সব ধরনের ভ্রমণ নিষিদ্ধ থাকবে, যা ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত বহাল থাকবে।