ইসলামী শরিয়াবিরোধী সিদ্ধান্ত না নেওয়া এবং ইসলামবিরোধী কোনো বক্তব্য না দেওয়ার ব্যাপারে সম্মত হলো বিএনপি ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ
বিএনপি ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ইসলামি শরিয়াবিরোধী কোনো সিদ্ধান্ত না নেওয়া এবং ইসলামবিরোধী বক্তব্য না দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছে।আজ(২৭ জানুয়ারি,২০২৫)সোমবার, পল্টনস্থ ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এই ঐকমত্য পোষণ করা হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতৃবৃন্দ।
বৈঠকের পর মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, উক্ত বৈঠকে দুই দলের মধ্যে ১০টি মূল বিষয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, যেগুলোর মধ্যে রয়েছে:
১. জাতীয় ঐক্য গঠন: আধিপত্যবাদ, সম্প্রসারণবাদ ও সাম্রাজ্যবাদবিরোধী সচেতনতার মাধ্যমে স্বাধীন ও সার্বভৌম টেকসই রাষ্ট্র গঠনে জাতীয় ঐক্য গঠন করা।
২. দ্রুত বিচার কার্যক্রম: দুর্নীতিবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি এবং টাকা পাচারকারীদের দ্রুত বিচার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা।
৩. মানবাধিকার রক্ষা: ভোটাধিকারসহ সকল মানবাধিকার রক্ষায় জাতীয় ঐকমত্য গঠন করা।
৪. নির্বাচনী সংস্কার: নূন্যতম প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করে দ্রুত সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের আয়োজন করা।
৫. মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ: দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ এবং সাধারণ মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা।
৬. ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্য: আওয়ামী ফ্যাসিবাদবিরোধী সকল শক্তি দেশ পুনর্গঠনে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে।
৭. সামাজিক ঐক্য: ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তিগুলো একে অপরের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক বক্তব্য প্রদান করবে না।
৮. আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ঐক্য: ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগের মতো ফ্যাসিবাদী শক্তি যাতে ক্ষমতায় না আসতে পারে, তার জন্য রাজনৈতিকভাবে ঐক্যবদ্ধ থাকা।
৯. ইসলামি বিষয়ক সিদ্ধান্ত: ইসলামী শরিয়াবিরোধী কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না এবং ইসলামবিরোধী কোনো বক্তব্য দেওয়া হবে না।
১০. প্রশাসনিক সংস্কার: প্রশাসনে এখনও বিদ্যমান আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দোসরদের দ্রুত অপসারণ করা।
বৈঠকে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলু, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করিম, মহাসচিব অধ্যক্ষ ইউনুস আহমেদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ মাদানী, যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান এবং অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।