রাজধানীর নীলক্ষেত এলাকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এবং সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করেছে এবং চার প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। রাত ১টা ১০ পর্যন্ত সংঘাত থামেনি, ফলে সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ক্লাস ও পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমেদ বলেন, “আগামীকাল কোনো ক্লাস বা পরীক্ষা হবে না। আমরা শিক্ষার্থীদের শান্ত থাকার আহ্বান জানাই।”

ঘটনার সূত্রপাত হয় যখন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মামুন আহমেদের বিরুদ্ধে ‘বিরূপ আচরণের’ অভিযোগ তুলেন। তাদের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি তাদের সাথে অশোভন আচরণ করেছেন এবং তাদের সমস্যার প্রতি অবহেলা করেছেন।

পরিস্থিতি আরো উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যখন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা সাইন্সল্যাব এবং টেকনিক্যাল মোড় অবরোধ করে এবং রাজধানীর তাঁতিবাজারেও অবরোধ সৃষ্টি করে। তাদের দাবি, সাত কলেজের ভর্তি পরীক্ষা এবং শ্রেণীকক্ষের ধারণক্ষমতা নিয়ে বেশ কিছু সমস্যা রয়েছে।

এ ঘটনায় শিক্ষার্থীরা ৫ দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছে। তাদের দাবিগুলো হলো:

১. ২০২৪-২৫ সেশন থেকেই সাত কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় অযৌক্তিক কোটা পদ্ধতি বাতিল করতে হবে।

২. সাত কলেজের শ্রেণীকক্ষের ধারণক্ষমতার বাইরে শিক্ষার্থী ভর্তি করানো যাবে না।

৩. শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত বিবেচনায় নিয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করাতে হবে।

৪. সাত কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় নেগেটিভ মার্কিং ব্যবস্থা চালু করতে হবে।

৫. সাত কলেজের ভর্তি ফি স্বচ্ছতার সাথে, ঢাবি ব্যতীত নতুন একটি একাউন্টে জমা রাখতে হবে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *