বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) কেবিন ব্লক এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন সংগঠিত হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। এদের মধ্যে চিকিৎসক, সিনিয়র স্টাফ নার্সসহ বিভিন্ন বিভাগের কর্মী রয়েছেন।
বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তারা:
১. ডা. আবু তোরাব আলী মিম (কার্ডিওলজি বিভাগ)
২. ডা. রিয়াজ সিদ্দিকী প্রাণ (চর্ম ও যৌন রোগ বিভাগ)
৩. নিতীশ রায় (পেইন্টার, পরিচালন অফিস)
৪. মো. সাইফুল ইসলাম (পেইন্টার, পরিচালন অফিস)
৫. কাজী মেহেদী হাসান (এমএলএসএস)
৬. শহিদুল ইসলাম (সাইদুল) (সহকারী ড্রেসার)
৭. সন্দীপ (সুইপার)
৮. শবনম নূরানী (সিনিয়র স্টাফ নার্স, সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল)
৯. শাহাদাত (এমএলএসএস, ওয়ার্ড মাস্টার অফিস)
১০. মুন্না আহমেদ (এমএলএসএস, কার্ডিওলজি বিভাগ)
১১. আনোয়ার হোসেন (এমএলএসএস, ওয়ার্ড মাস্টার অফিস)
১২. উজ্জল মোল্লা (অফিস সহকারী, রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগ)
১৩. সুজন বিশ্ব শর্মা (চালক, পরিবহন শাখা)
১৪. ফকরুল ইসলাম জনি (এমএলএসএস, বহির্বিভাগ)
১৫. রুবেল রানা (কাস্টমার কেয়ার অ্যাটেনডেন্ট, ল্যাবরেটরি সার্ভিস সেন্টার)
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. মো. নজরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এই বরখাস্তের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। এ আদেশে বলা হয়, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দক্ষতা ও শৃঙ্খলা অধ্যাদেশের আওতায় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সাময়িক বরখাস্তের সময় তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী বেতন ও ভাতা প্রাপ্য হবেন, তবে তাদের চাকরি নিয়ন্ত্রিত হবে।
এ আদেশ ২০২৫ সালের ৫ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তীতে আরও ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।