যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং ২০০২ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার জয়ী জিমি কার্টার গত ২৯ ডিসেম্বর, রবিবার, ১০০ বছর বয়সে মারা গেছেন। তার মৃত্যু হয়েছিল জর্জিয়ার প্লেইনস শহরের নিজ বাড়িতে, তার প্রতিষ্ঠিত কার্টার সেন্টার জানিয়েছে।

জিমি কার্টার, যিনি এক সময় বিশ্বের বৃহত্তম শক্তির দেশের প্রেসিডেন্ট ছিলেন, দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। ত্বকের ক্যানসার মেলানোমাসহ বিভিন্ন শারীরিক জটিলতার কারণে তিনি জীবনযুদ্ধে সংগ্রাম করছিলেন। তবে, একশ বছর বয়সে এসে পৃথিবী থেকে বিদায় নেন তিনি।

জিমি কার্টার ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের ৩৯তম প্রেসিডেন্ট। ১৯৭৬ সালে তিনি ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারির পর দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান জেরাল্ড ফোর্ডকে পরাজিত করেন। তার প্রেসিডেন্ট থাকাকালে তিনি অর্থনৈতিক সংকট, কূটনৈতিক সমস্যা এবং আন্তর্জাতিক সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধানে কাজ করেছিলেন।

১৯৮০ সালে রিপাবলিকান প্রতিদ্বন্দ্বী রোনাল্ড রিগ্যানের কাছে পরাজিত হয়ে প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সরে যান কার্টার। এরপর, তিনি একটি মানবিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী সম্মান অর্জন করেন এবং ২০২২ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করেন। তাঁর শান্তিপূর্ণ সমাধান, মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের প্রচার, এবং সামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখার জন্য এই পুরস্কার দেয়া হয়।

কার্টার ১৯৪৬ সালে রোসালিন স্মিথের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন, এবং তাদের চার সন্তান, ১১ নাতি-নাতনি এবং ১৪ প্রপৌত্র-পৌত্রী রয়েছে। ২০২৩ সালের নভেম্বরে রোসালিনের মৃত্যু হয়। দীর্ঘ ৭৭ বছরের দাম্পত্য জীবনে তাদের সম্পর্ক ছিল অটুট।

জাতীয় শোক প্রকাশ করেছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, যিনি জিমি কার্টারকে “অসাধারণ নেতা” আখ্যায়িত করে শোক জানিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *