ডেক্স রিপোর্ট :ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও দেশের প্রথিতযশা রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদের ৯২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে শনিবার (২১ ডিসেম্বর, ২০২৪) জাতীয় প্রেসক্লাবে এক স্মারক বক্তৃতার আয়োজন করা হয়। এমাজউদ্দীন আহমদ রিসার্চ সেন্টারের উদ্যোগে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে বক্তারা প্রয়াত অধ্যাপকের সততা, নৈতিকতা এবং গণতন্ত্রের প্রতি তার অবিচল সমর্থনকে স্মরণ করেন।
অধ্যাপক মোহাম্মদ আবদুল হাকিম তার স্মারক বক্তৃতায় বলেন, “অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ সত্যবাদী, নৈতিকতাসম্পন্ন এবং নিষ্ঠাবান ব্যক্তি ছিলেন। তিনি কখনোই হঠকারী সিদ্ধান্ত নিতেন না এবং শিক্ষকতা জীবনে নিজের সুনাম ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।” তিনি আরও বলেন, “এমাজউদ্দীন আহমদ ছিলেন এক বিশাল মাপের বুদ্ধিজীবী, যিনি সবসময় সত্য কথা বলতেন, তা সে কোনো পক্ষের পছন্দ হোক বা না হোক।”
প্রয়াত অধ্যাপকের কন্যা অধ্যাপক দিল রওশন জিন্নাত আরা নাজনীন বলেন, “আমার বাবা ছিলেন একজন স্বপ্নদ্রষ্টা। তার স্বপ্ন ছিল একটি গণতান্ত্রিক এবং স্বাধীন বাংলাদেশ, যেখানে সবাই মুক্তভাবে কথা বলবে। তিনি বিশ্বাস করতেন যুবসমাজ দেশের ভবিষ্যত এবং তাদের হাত ধরেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে।” তিনি অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবাইকে তার পিতার জন্য দোয়া করার আহ্বান জানান এবং আল্লাহর কাছে তার কবরকে বেহেশতের বাগান বানানোর প্রার্থনা করেন।
অধ্যাপক আবদুল লতিফ মাসুম অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে বলেন, “অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ কোনো দলের রাজনীতি করেননি, তিনি ছিলেন এক স্বকীয় ধারার দেশপ্রেমিক বুদ্ধিজীবী, যিনি গণতন্ত্রকে একটি জাতির জীবনের মূল ভিত্তি হিসেবে বিবেচনা করতেন। তাঁর জীবনকালীন সময়ে তাকে রাজনৈতিক মামলা এবং তার পরিবারের উপর অন্যায় আক্রমণসহ নানা অবিচারের শিকার হতে হয়েছে।”
এমাজউদ্দীন আহমদ ১৯৯২ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তার লেখা ৩৯টি বই এবং ১৫০টির বেশি প্রবন্ধ দেশে ও বিদেশে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে।