ডেস্ক রিপোর্ট ॥ আজ ১৬ ডিসেম্বর, মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের বিভিন্ন জাহাজ সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়। মহান স্বাধীনতা অর্জনের দিনটি উপলক্ষে প্রতি বছরের মতো এবারও জাতি দিনটি বিশেষভাবে পালন করছে। ১৯৭১ সালের এই দিনে নয় মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধ শেষে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী আত্মসমর্পণ করে এবং বাংলাদেশ স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। বিজয় দিবসের মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের অংশ হিসেবে কোস্ট গার্ডের উদ্যোগে এই প্রদর্শনী আয়োজন করা হয়।
ঢাকা জোনের অধীনে চাঁদপুর লঞ্চঘাটে ‘বিসিজিএস পোর্টেগ্রান্ডে’, মুন্সিগঞ্জ লঞ্চঘাটে ‘বিসিজিএস শেটগাং’, পূর্ব জোনের অধীনে চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় ‘বিসিজিএস সৈয়দ নজরুল’, বিসিজি বেইস চট্টগ্রামে ‘বিসিজিএস রূপসী বাংলা’, পশ্চিম জোনের মোংলায় ‘বিসিজিএস কামরুজ্জামান’, খুলনায় ‘বিসিজিএস অপরাজেয় বাংলা’ এবং দক্ষিণ জোনের ভোলার ইলিশা ঘাটে ‘বিসিজিএস সোনার বাংলা’ দুপুর ২টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত ছিল।
এই সময় আশপাশের এলাকার উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নারী-পুরুষ কোস্ট গার্ডের জাহাজ পরিদর্শনে আসেন। সাধারণ মানুষ জাহাজে উঠে কোস্ট গার্ডের কার্যক্রম, দায়িত্ব এবং জাহাজের বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখার সুযোগ পান। উপস্থিত কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা জাহাজের গভীর সমুদ্রে গমন, উপকূলীয় অঞ্চলে টহল প্রদান, উদ্ধার ও অনুসন্ধান অভিযান, চোরাচালান ও জলদস্যুতা দমন, প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষা এবং যুদ্ধ কৌশল সম্পর্কে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেন।
জাহাজে উপস্থিত দর্শনার্থীরা জাহাজের কার্যক্রম নিয়ে তাদের আগ্রহ প্রকাশ করেন। বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে কোস্ট গার্ড কর্মকর্তারা তাদের কাজ ও দায়িত্বের বিস্তারিত তুলে ধরেন। মানুষ জানতে পারে কীভাবে কোস্ট গার্ড সমুদ্রের সুরক্ষা এবং উপকূলীয় অঞ্চলে নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। কোস্ট গার্ডের এই কর্মকাণ্ডের প্রতি সবার মধ্যে ইতিবাচক মনোভাব তৈরি হয়।
উদ্যোগটি স্থানীয় মানুষদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলে। নারী, পুরুষ, এমনকি শিশুরাও এই প্রদর্শনীতে অংশ নেয় এবং কোস্ট গার্ডের বিভিন্ন কাজ সম্পর্কে সচেতন হয়। সাধারণ মানুষ জাহাজ ঘুরে দেখে এবং এর কার্যক্রম সম্পর্কে জেনে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে। প্রদর্শনী শেষে তারা খুশি মনে বাড়ি ফিরে যায়।
মহান বিজয় দিবসে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের এই উদ্যোগ সাধারণ মানুষের মাঝে সেবামূলক কাজ এবং নিরাপত্তা কার্যক্রম সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে বড় ভূমিকা রেখেছে। এমন আয়োজন ভবিষ্যতে আরও ব্যাপক পরিসরে হওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন দর্শনার্থীরা।