ডেস্ক রিপোর্ট ॥ পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান সফর রাজ হোসেন বলেছেন, পুলিশের প্রাণঘাতি অস্ত্র ব্যবহারের নীতিমালা সীমিত করার প্রস্তাব দেওয়া হবে। ইউরোপের বিভিন্ন দেশের মডেল অনুসরণ করে, পুলিশের অস্ত্র ব্যবহারে যুক্তরাষ্ট্রের কঠোর নীতির পরিবর্তে একটি মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি প্রয়োগ করা হবে।
রোববার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত পুলিশ সংস্কারবিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা জানান। সফর রাজ হোসেন বলেন, “পুলিশ যেন শান্তিপ্রিয়, জনগণের সঙ্গে সম্প্রীতিমূলকভাবে কাজ করতে পারে এবং কোনোভাবেই মানুষের প্রতিপক্ষ না হয়- সেই লক্ষ্যে কাজ করছে কমিশন।”

তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, সরকারের সম্মতি পেলে সংস্কার প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নের জন্য ধীরে ধীরে কাজ শুরু হবে। পুলিশের প্রশিক্ষণে বিশেষ মনোযোগ দেওয়া হবে যাতে তাদের প্রাণঘাতি অস্ত্র ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা কমে আসে।

 

সভায় পুলিশ সংস্কার কমিশনের সদস্য সচিব আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, “আমরা চাই পুলিশ জনগণের প্রকৃত বন্ধু হয়ে উঠুক। এর জন্য বাহিনীটিকে একটি সুশৃঙ্খল কাঠামোর মধ্যে আনতেই হবে।”সভায় ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা পুলিশের সহিংসতার বিরুদ্ধে তাদের অভিযোগ তুলে ধরেন। কেউ সন্তান হারিয়েছেন আন্দোলনের সময়, আবার কেউ বছরের পর বছর ধরে নিখোঁজ স্বজনের খোঁজ পাচ্ছেন না। ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন, গুম বা নির্যাতনের শিকার হওয়ার পরও তাদের বিরুদ্ধে পুলিশি নিপীড়ন চালানো হয়েছে।

 

সভায় উপস্থিত ব্যক্তিরা একমত হন যে, পুলিশ যাতে কখনোই রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি, পুলিশ ও ঘুষ- এ দুইয়ের মধ্যকার সম্পর্ক চিরতরে বিলুপ্ত করার আহ্বান জানানো হয়।সভাটি শেষ হয় পুলিশ সংস্কারের প্রস্তাবগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের আহ্বানের মধ্য দিয়ে। জনগণের আস্থা অর্জনে পুলিশ বাহিনীর ভূমিকা ও নীতিমালা নিয়ে আরও ইতিবাচক পরিবর্তনের প্রত্যাশা করেন সবাই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *