ডেস্ক রিপোর্ট ॥ রাজশাহী জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত ‘শহীদ পরিবারের পাশে বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম গণ-অভ্যুত্থানের বিশ্বাসের প্রতি অবিচার ও বেঈমানির বিরুদ্ধে তীব্র হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। তিনি বলেন, “আমরা দালাল নই। ক্ষমতাপিপাসু নই। যদি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইউনূস গণ-অভ্যুত্থানের আদর্শের সঙ্গে বেঈমানি করেন, তাকেও আমরা ছেড়ে কথা বলব না।”

অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন। এতে রাজশাহী বিভাগের ৬৩টি শহীদ পরিবারের মধ্যে ৪৬ পরিবারকে প্রতিটি পাঁচ লাখ টাকা করে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।

সারজিস আলম প্রশ্ন তোলেন, “জুলাই অভ্যুত্থানে গুলি চালানো পুলিশ সদস্যদের শাস্তি না দিয়ে তাদের বদলি করে নতুন পোস্টিং দেওয়া হচ্ছে। মামলা বাণিজ্যে জড়িত বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা ও প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা তদন্ত প্রক্রিয়ায় বাঁধা সৃষ্টি করছেন। শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যার বিচারে কবর থেকে লাশ উত্তোলন করা হয়নি। তাহলে জুলাই-আগস্টের শহীদদের লাশ কেন তুলতে হবে?”

ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে তিনি বলেন, “ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক তাদের কাজের মাধ্যমে নির্ধারিত হবে। ভালো সম্পর্ক রাখতে চাইলে ভারতকে খুনি শেখ হাসিনাকে আশ্রয় না দিয়ে ফেরত দিতে হবে। বাংলার মাটিতেই খুনি হাসিনার বিচার হবে।”

অনুষ্ঠানে রাজশাহী বিভাগের ৬৩টি শহীদ পরিবারের মধ্যে ৪৬ পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়। প্রতিটি পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকার চেক প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতারা, রাজশাহী প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং শহীদ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এই অনুষ্ঠানে বক্তারা গণ-অভ্যুত্থানের স্মৃতি ধরে রাখার প্রয়োজনীয়তা এবং শহীদ পরিবারের প্রতি সহায়তার গুরুত্ব তুলে ধরেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *