ডেস্ক রিপোর্ট ॥ আগামী জানুয়ারিতে দেশের শীতের তীব্রতা বাড়তে পারে এবং তাপমাত্রা ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) এ তথ্য জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ ড. মো. বজলুর রশিদ।

তিনি বলেন, “সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। উত্তরাঞ্চলে ১৯ বা ২০ ডিসেম্বরের পর শৈত্যপ্রবাহ বিস্তার লাভ করতে পারে। বর্তমানে রাজশাহী, চুয়াডাঙ্গা ও পঞ্চগড়ের ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, যা অব্যাহত থাকতে পারে।”

জানুয়ারি মাসে শীতের তীব্রতা আরও বাড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করে তিনি জানান, “এ সময় তাপমাত্রা ৩-৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত নেমে আসতে পারে, যা শীতের প্রকোপ বাড়াবে। মধ্যরাত থেকে দুপুর পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।”

শুক্রবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়, যা ছিল ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজশাহীতে তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় এদিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৫ ডিগ্রি এবং সর্বোচ্চ ২১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

ড. বজলুর রশিদ বলেন, “ঢাকায় শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা না থাকলেও তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি বা কাছাকাছি নেমে আসতে পারে। জানুয়ারিতে কুয়াশার প্রকোপ গত বছরের মতোই থাকবে। উত্তরের অঞ্চলে বিশেষত তেঁতুলিয়া, চুয়াডাঙ্গা এবং রাজশাহীতে শীতের প্রকোপ আরও বেশি অনুভূত হবে।”

তিনি আরও বলেন, “উত্তরাঞ্চলের বাসিন্দাদের শীত মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়া উচিত। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের বাড়তি যত্নের প্রয়োজন হবে। স্থানীয় প্রশাসনকেও শীতার্ত মানুষের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত থাকতে হবে।”

দেশের উত্তরাঞ্চলে ইতোমধ্যেই মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, ডিসেম্বরের শেষভাগ থেকে জানুয়ারির শুরুতে এটি আরও তীব্র হতে পারে।

শীতের প্রকোপ বাড়ায় উত্তরাঞ্চলের বাসিন্দাদের যথাযথ প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। বিশেষ করে শীতবস্ত্রের যথাযথ ব্যবস্থাপনা, পর্যাপ্ত খাদ্য ও জ্বালানির সংস্থান করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

সরকার এবং বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার প্রতি শীতার্ত মানুষের জন্য সাহায্য এবং সহায়তা কার্যক্রম পরিচালনার অনুরোধ করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *