হিলি প্রতিনিধি ॥ শীতের তীব্রতা বাড়ার সাথে সাথে দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার হিলি বাজারে শীতবস্ত্রের চাহিদা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। হিমালয়ের নিকটবর্তী এই অঞ্চলে শীতের প্রভাব অন্যান্য জায়গার তুলনায় বেশি হওয়ায়, স্থানীয় এবং দূরবর্তী ক্রেতারা উষ্ণ কাপড়, কম্বল, সাল চাদর এবং অন্যান্য শীতবস্ত্র কিনতে হিলিতে আসছেন।

স্থানীয় ব্যবসায়ী এবং ক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রতিবছরের মতো এবারও শীত মৌসুমে হিলি বাজারে শীতবস্ত্রের ব্যবসা জমজমাট। ক্রেতারা জানান, এখানে শীতবস্ত্রের মান ভালো এবং দাম তুলনামূলক কম হওয়ায় দূর-দূরান্ত থেকে তারা হিলিতে আসছেন।

গাইবান্ধার সাঘাটা থেকে আসা সাজ্জাদ হোসেন বলেন, “হিলিতে কম্বলের দাম আমাদের গাইবান্ধার চেয়ে অনেক কম এবং মানও ভালো। এখানে সিঙ্গেল কম্বল পাওয়া যাচ্ছে ২ হাজার ৮০০ থেকে ৩ হাজার ২০০ টাকায়, যা গাইবান্ধায় ৩ হাজার ৫০০ থেকে ৪ হাজার টাকার নিচে পাওয়া যায় না।”

বগুড়া থেকে আসা ক্রেতা আব্দুর রউফ বলেন, “পরিবার নিয়ে এসেছি কম্বল ও ছেলে-মেয়েদের শীতবস্ত্র কিনতে। হিলিতে ডাবল কম্বল বিক্রি হচ্ছে ৪ হাজার ৫০০ থেকে ৫ হাজার টাকায়, যা বগুড়ায় ৬ হাজার টাকার কমে পাওয়া যায় না।”

হিলি বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, শীতবস্ত্রের ব্যবসা মূলত মৌসুমি হওয়ায় শীত মৌসুমে চাহিদা বাড়ে এবং এই সময়ই ক্রেতাদের সুবিধার্থে কম লাভে বিক্রি করেন তারা। লাবণ্য ফ্যাশন হাউজের মালিক আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, “আমরা প্রতিটি কম্বলে মাত্র ১০০ থেকে ১৫০ টাকা লাভ রেখে বিক্রি করছি, যা অন্যান্য জায়গায় কমপক্ষে ৫০০ টাকা বেশি রাখা হয়।”

বিক্রেতারা জানান, সাধারণত সপ্তাহের ছুটির দিনগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় বেশি থাকে। শুক্রবার ও শনিবারে দূরবর্তী জেলা থেকে আসা ক্রেতাদের সংখ্যাও বৃদ্ধি পায়।

শীতবস্ত্রের কম দাম এবং ভালো মানের কারণে হিলি বাজার শুধু উত্তরাঞ্চলের নয়, দেশের বিভিন্ন জেলার ক্রেতাদের কাছেও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *