ডেস্ক রিপোর্ট ॥ বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের ইউরোপীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা নিয়ে সৃষ্টি হওয়া সমস্যার সমাধানে ভারত-বাংলাদেশ ভিসা নীতির পরিবর্তন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে ইউরোপের বিভিন্ন দেশগুলোতে ভিসা প্রক্রিয়া কঠিন হওয়ার কারণে অনেক শিক্ষার্থী দিল্লি গিয়ে ইউরোপীয় ভিসা নিতে পারছেন না। এর ফলে তাদের শিক্ষাজীবন নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২১ জন রাষ্ট্রদূতকে গত সোমবার (৯ ডিসেম্বর) এক বৈঠকে জানিয়েছেন যে, বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন উভয়ই উপকৃত হবে যদি ভিসা অফিস ঢাকা বা প্রতিবেশী কোনো দেশে স্থানান্তরিত হয়।
প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের হেড অব ডেলিগেশন মাইকেল মিলারসহ ২১ জন রাষ্ট্রদূত উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে বাংলাদেশ-ইইউ সম্পর্ক, শ্রম অধিকার, বাণিজ্য সুবিধা, জলবায়ু পরিবর্তন, মানবাধিকার, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা হয়।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস তার বক্তব্যে বলেন, “ডিসেম্বর মাসে আমরা আমাদের বিজয় উদ্যাপন করি, আর এই বিজয়ের মাসে আপনাদের সঙ্গে এমন একটি আলোচনা করতে পেরে আমি খুব আনন্দিত।” তিনি বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, অর্থনৈতিক শ্বেতপত্র, দুর্নীতি, অর্থপাচার ও ব্যাংকিং সিস্টেমের অস্বচ্ছতার বিষয়ে আলোচনা করেন।
বাংলাদেশ সম্পর্কে অপতথ্য প্রচার করা হচ্ছে এবং এটি বন্ধ করার জন্য ইইউ প্রতিনিধিদের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি। একই সঙ্গে তিনি দেশে গণঅভ্যুত্থানে নিহত ও আহতদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
বৈঠকে উপস্থিত পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন জানান, ইতোমধ্যে বুলগেরিয়া তাদের ভিসা সেন্টার ইন্দোনেশিয়া ও ভিয়েতনামে স্থানান্তর করেছে এবং অন্যান্য দেশগুলোকেও একই প্রক্রিয়া অনুসরণের আহ্বান জানিয়েছেন।