ডেস্ক রিপোর্ট ॥ নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, আগামী দুই বছরের মধ্যে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরে ব্যাপক পরিবর্তন এবং উন্নয়ন হবে। শনিবার দুপুরে বন্দরের উন্নয়ন কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, “ভারত আমাদের দ্বিতীয়, তৃতীয় বা চতুর্থ ব্যবসায়িক কেন্দ্র হিসেবে দেখে। আমদানি-রপ্তানি বন্ধ হলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে ভারত, আমরা নয়। তাদের গরজ আমাদের চেয়ে বেশি। তারা যদি আমদানি-রপ্তানি বন্ধ করতে চায়, করুক। গরু বন্ধ করার পরও আমরা মাংস খেতে পারছি। ব্যবসায়িক সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হলে দুই দেশের লাখ লাখ মানুষের জীবন ও অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তবে ব্যবসায়ীরা এ ধরনের পদক্ষেপ সমর্থন করবে না।”
ভোমরা স্থলবন্দরের উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়ে এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, “দুই বছরের মধ্যে এখানে র্যাডিকাল পরিবর্তন আসবে। বন্দরের অবকাঠামো উন্নয়ন ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। কাজ শেষ হলে বন্দর আরও কার্যকর এবং উন্নত হবে। এটি দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে বড় ভূমিকা রাখবে।”
শনিবার সকাল সাড়ে ১১টায় ভোমরা স্থলবন্দর পরিদর্শনে আসেন এম সাখাওয়াত। তিনি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট, কাস্টমস, এবং আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করেন। দুপুর সাড়ে ১২টায় বন্দরের সম্মেলন কক্ষে বন্দরের অংশীজনদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় অংশ নেন।
বৈঠকে তিনি ব্যবসায়ী ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে বন্দরের কার্যক্রম আরও কার্যকর করার বিষয়ে আলোচনা করেন। এছাড়া ভারতীয় পক্ষের সঙ্গে বাণিজ্য এবং সীমান্ত ইস্যুতে দুই দেশের সহযোগিতার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন।
এম সাখাওয়াত হোসেন আরও বলেন, “বাণিজ্যিক সম্পর্ক দুই দেশের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। ভবিষ্যতে ভোমরা স্থলবন্দর দেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রায় বড় অবদান রাখবে।”