পটুয়াখালী প্রতিনিধি ॥ দেশে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিজেআরআই) উদ্ভাবিত পাটের বিকল্প উচ্চ ফলনশীল কেনাফ ও কেনাফ শাকের বীজ উৎপাদন, সম্প্রসারণ এবং জনপ্রিয়করণ নিয়ে মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ পাট গবেষণা উপকেন্দ্রে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বিজেআরআই অঙ্গ পার্টনার প্রকল্পের ব্যবস্থাপনায় দিনব্যাপী এই কর্মসূচি কৃষি উন্নয়নকে কেন্দ্র করে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করে।
বিজেআরআই খামার ব্যবস্থাপনা ইউনিটের পিসও কৃষিবিদ ড. মো. লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিজেআরআই’র সিএসও কৃষিবিদ ড. গোলাম মোস্তফা, কৃষিবিদ ড. এ কে এম শাহাদাৎ হোসেন এবং মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের পিএসও কৃষিবিদ মো. কামরুজ্জামান।
বক্তারা জানান, রাসায়নিক কিটনাশক এবং নিড়ানী ছাড়াই লবণাক্ত ও অনুর্বর জমিতে কেনাফের ভালো ফলন পাওয়া যায়। কেনাফ চাষ সহজ ও সাশ্রয়ী হওয়ায় এটি কৃষকদের জন্য অত্যন্ত লাভজনক একটি ফসল। বিশেষ করে অনুর্বর এবং লবণাক্ত জমিতে উচ্চ ফলনশীল কেনাফ চাষাবাদ কৃষকদের অর্থনৈতিকভাবে লাভবান করতে পারে।
এসময় বিশেষজ্ঞরা কেনাফ চাষের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, এটি পাটের বিকল্প ফসল হিসেবে বিশেষভাবে উপযোগী। কেনাফ চাষ শুধু বস্ত্রশিল্পে নয়, পরিবেশ রক্ষায় এবং খাদ্যশস্যের বিকল্প হিসেবেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। তারা কৃষকদের লবণাক্ত ও অনুর্বর জমিতে উচ্চ ফলনশীল কেনাফ চাষের প্রতি উৎসাহিত করেন।
বক্তারা আরও বলেন, বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের উদ্ভাবিত কেনাফ বীজ চাষের ফলে কৃষকরা উৎপাদন খরচ কমিয়ে অধিক মুনাফা অর্জন করতে পারবেন। এই প্রযুক্তি সারাদেশে সম্প্রসারণের মাধ্যমে কৃষি খাতের উন্নয়ন সম্ভব।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত কৃষকরা কেনাফ চাষের নতুন সম্ভাবনা সম্পর্কে জানতে পারেন এবং তাদের মধ্যে এ নিয়ে উৎসাহ দেখা যায়। বিজেআরআই’র পক্ষ থেকে কৃষকদের প্রশিক্ষণ ও বীজ সরবরাহের বিষয়েও আশ্বাস দেওয়া হয়।