বাংলা একাডেমি ২০শে অগ্রহায়ণ ১৪৩১/৫ই ডিসেম্বর ২০২৪ বৃহস্পতিবার বিকেল ৪:০০টায় একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও নাট্যকার মুনীর চৌধুরীর ৯৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে সেমিনারের আয়োজন করে।
এতে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বাংলা একাডেমির সংস্কৃতি, পত্রিকা ও মিলনায়তন বিভাগের পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) ড. সরকার আমিন। পরবর্তীতে ‘সাহিত্য—শাস্ত্রবাদী ও জাতীয়তাবাদী নাট্যসমালোচনার অধিপতিশীল ধারার বিপরীতে মুনীর চৌধুরীর কবর নাট্যের অন্য পাঠ : স্মৃতির রাজনীতি ও রাজনৈতিক অজ্ঞান মনের বিবিধ রূপরেখা’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ড. শাহমান মৈশান। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন অধ্যাপক সুমন রহমান ও অধ্যাপক ফারহানা আখতার।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম।
ড. সরকার আমিন বলেন, মুনীর চৌধুরী তাঁর জন্মের প্রায় শতবর্ষ পেরিয়ে আজও আমাদের কাছে সমান প্রাসঙ্গিক। তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, ২০২৪—এ ছাত্র গণ—অভ্যুত্থানের সঙ্গে তাঁর রচিত কবর নাট্যের নানা চরিত্র, ঘটনাপ্রবাহ ও সংলাপের অনন্য মিল আবিষ্কার করা যায়, যা সৃষ্টিশীল মানুষের দূরকল্পনাকে প্রতীয়মান করে।
অধ্যাপক ড. শাহমান মৈশান বলেন, মুনীর চৌধুরীর কবর নাট্যের প্রভাবশালী সমালোচনামূলক আলোচনা যেভাবে গড়ে উঠেছে, সেখানে সাহিত্যবাদী সমালোচনা থেকে এই নাট্যের পূর্ণ উপলব্ধি সম্ভব হয় না। তিনি বলেন, কবর নাট্য শুধু অতীতের স্মৃতির বাহক নয়, এটি বর্তমান ও ভবিষ্যতের প্রতিরোধের একটি শিল্পস্বর হিসেবেও বিবেচিত হতে পারে।
আলোচকদ্বয় মুনীর চৌধুরীর কবর নাট্যকে শুধুমাত্র একটি নির্দিষ্ট ব্যাখ্যায় সীমাবদ্ধ না রেখে, তার অসীম ব্যঞ্জনাকে উপলব্ধি করার গুরুত্ব তুলে ধরেন।
অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম বলেন, কবর নাট্যের একমাত্রিক পাঠ বিপজ্জনক এবং যথাযথ নয়। মুনীর চৌধুরীর সাহিত্যকর্ম বিভিন্ন পাঠের দাবি রাখে এবং তা সময়ের সঙ্গে অবিচ্ছিন্নভাবে সৃষ্টিশীলতার দীপ্তি বহন করে চলেছে।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বাংলা একাডেমির সহপরিচালক (চলতি দায়িত্ব) ড. মাহবুবা রহমান।