পটুয়াখালী প্রতিনিধি ॥ পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় একটি পরিবারের ওপর গণনাকারীর দেওয়া ভুল তথ্যের ভিত্তিতে বর্বরোচিত নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। নির্যাতনের শিকার একই পরিবারের চার সদস্য বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আহতরা হলেন মিজানুর ঘরামী, তার মেয়ে কলেজ শিক্ষার্থী লামিয়া, স্ত্রী সাবিনা বেগম, এবং স্ত্রীর বোনের মেয়ে কলেজ শিক্ষার্থী মারুফা। তাদের মধ্যে মারধরের কারণে সাবিনা বেগমের বাম পা ভেঙে গেছে।

মিজানুর ঘরামী অভিযোগ করেন, ২৭ নভেম্বর রাতে দূর্বৃত্তরা তাদের খাবারে চেতনা নাশক মিশিয়ে স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ অর্থ লুট করে। এ ঘটনায় পুরো পরিবার অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং স্থানীয়দের সহায়তায় হাসপাতালে ভর্তি হয়। তবে চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফেরার পর স্থানীয় এক গণনাকারীর মন্তব্যের জেরে তাদের উপর পাশবিক নির্যাতন চালানো হয়।

মিজানুরের স্ত্রী সাবিনা বেগম জানান, গণনাকারী অঞ্জনা রানী মিথ্যা দাবি করেন যে, মিজানুরের সঙ্গে তার বোনের মেয়ের অনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। এ অভিযোগের ভিত্তিতে শালিসের নামে তাদের পরিবারকে মারধর করা হয়। তিনি বলেন, “এটি পুরোপুরি ভিত্তিহীন। ঘটনার দিন আমার শ্বশুর-শাশুড়ি ও ছেলেও বাড়িতে ছিলেন। তবুও চুরির ঘটনা আড়াল করতে মিথ্যা অপবাদ দেওয়া হয়েছে।”

মারধরে আহত মিজানুরের স্ত্রীর বোনের মেয়ে মারুফা মানসিক ও শারীরিকভাবে এতটাই আঘাতপ্রাপ্ত যে, তাকে পুনরায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

অঞ্জনা রানী, যিনি গণনার দায়িত্বে ছিলেন, দাবি করেন যে তিনি পরকীয়ার কোনো কথা বলেননি। তিনি শুধু চুরির ঘটনা সম্পর্কে প্রশ্ন করেছিলেন। তবে এই বিষয়ে তার অস্পষ্ট বক্তব্য সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যা দিতে ব্যর্থ হয়েছে।

শালিসদার হাবীব ঘরামী মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “বিষয়টি পুরোপুরি পারিবারিক ছিল। আমি কাউকে মারিনি।”

এ বিষয়ে কলাপাড়া থানার ওসি মো. জুয়েল আহম্মেদ জানান, ভুক্তভোগী একজন নারী থানায় এসেছিলেন। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *