oplus_2

গাইবান্ধা প্রতিনিধি ॥ গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার চরাঞ্চলের কৃষি পণ্য পরিবহন ও মানুষের যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। গত বর্ষা মৌসুমে বন্যার স্রোতে কাপাসিয়া ও চণ্ডীপুর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী ওয়াপদা বাঁধ সংলগ্ন ব্রিজটি ভেঙে যাওয়ায় দুই ইউনিয়নের প্রায় ২২-২৩ হাজার মানুষের চলাচল প্রায় অচল হয়ে পড়েছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, কাপাসিয়া ইউনিয়নের অষ্টমীর চর, কাজিয়ার চর, সিঙ্গীজানী, চর কাপাসিয়া, এবং লালচামার গ্রামের মানুষের চলাচলের জন্য ব্রিজটি ছিল একমাত্র ভরসা। অপরদিকে, চণ্ডীপুর ইউনিয়নের ১, ৩, এবং ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মানুষও এই ব্রিজ ব্যবহার করতেন। ব্রিজটি ভেঙে যাওয়ায় কৃষি পণ্য পরিবহনে বিপাকে পড়েছে এ অঞ্চলের হাজারো কৃষক।

কাপাসিয়া ইউনিয়নের চরাঞ্চলে কয়েক হাজার হেক্টর জমিতে ভুট্টা, মরিচ, ধান, তোষাপাট, বাদাম, গম, সরিষা, পেঁয়াজ, রসুনসহ বিভিন্ন কৃষি পণ্য চাষাবাদ হয়। তবে ব্রিজ না থাকায় এসব পণ্য পরিবহন ব্যাহত হচ্ছে। চাষিরা জানিয়েছেন, পণ্য বাজারজাত করতে না পারলে তাদের ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়তে হবে।

চণ্ডীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেহেদী মোস্তফা মাসুম জানান, ব্রিজটি ভেঙে যাওয়ার পর আপাতত কাঠ ও বাঁশ দিয়ে সাঁকো তৈরি করা হয়েছে। এটি দিয়ে মানুষের চলাচল সম্ভব হলেও যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। ফলে কৃষি পণ্য পরিবহনের সমস্যা থেকেই যাচ্ছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এই ব্রিজটি স্থায়ীভাবে নির্মাণ না করা হলে আগামী বর্ষায় এ অঞ্চলের মানুষের দুর্ভোগ আরও বেড়ে যাবে। তারা দ্রুত ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন।

চণ্ডীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরও জানান, “স্থায়ী ব্রিজ নির্মাণের জন্য আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছি। আশা করছি দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *