ডেস্ক রিপোর্ট ॥ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাথে তাদের কোনো মতপার্থক্য নেই, তবে জনগণের নিত্যপ্রয়োজনীয়তা পূরণের সঙ্গে সঙ্গে সংস্কারের সঠিক বাস্তবায়নও জরুরি। সংস্কার যদি জনগণের মৌলিক চাহিদা পূরণে সহায়ক না হয়, তবে তা কোনো কাজে আসবে না, এমন মন্তব্য করেছেন তিনি।

সোমবার (২৫ নভেম্বর) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)-এর বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তারেক রহমান এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, “বিএনপি মনে করে, সংস্কারের পাশাপাশি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করা উচিত। কোনো সরকারই জনগণের ভোট ছাড়া ক্ষমতায় থাকতে পারবে না।”

এ সময় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন প্রসঙ্গে বলেন, “জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে অন্তত ৬ জন সাংবাদিক শহীদ হয়েছেন, ২ হাজারের বেশি ছাত্র-জনতা নিহত হয়েছে এবং আমাদের সংগঠনের প্রায় ৪০০ নেতাকর্মী এই লড়াইয়ে নিহত হয়েছে।” তিনি অভিযোগ করেন, “স্বৈরাচারের নির্দেশে এ সকল হত্যাকাণ্ড ও নৃশংসতার ঘটনা ঘটেছে।”

তারেক রহমান আওয়ামী লীগকে গণতন্ত্রের শত্রু হিসেবে অভিহিত করে বলেন, “আওয়ামী লীগ ও গণতন্ত্র একে অপরের শত্রু। বর্তমান সরকারের নানা ষড়যন্ত্রের কারণে গণতন্ত্র বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। আমরা জানি, বিতাড়িত অপশক্তি আর বাংলাদেশের রাজনীতিতে ফিরে আসতে পারবে না।”

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোহাম্মদ শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ খানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, বিএফইউজে নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

এ সভায়, বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে চলমান ষড়যন্ত্র এবং গণতন্ত্রের সুরক্ষায় দলটির দৃঢ় অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করা হয়। নেতারা বলেন, বিএনপি তার সংগ্রাম অব্যাহত রাখবে, এবং জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত প্রতিবাদ এবং আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *