ডেস্ক রিপোর্ট ॥ সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে সেনাকুঞ্জে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে দেখে কেঁদে ফেলেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। প্রায় ছয় বছর পর খালেদা জিয়াকে কোনো অনুষ্ঠানে উপস্থিত দেখে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন তিনি।

এ দিন, মির্জা ফখরুল অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে খালেদা জিয়াকে শ্রদ্ধা জানান এবং তার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “আজকের এই সম্মান প্রদর্শন আমাদের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। খালেদা জিয়া এ দেশের গণতন্ত্র, স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্বের জন্য যে ত্যাগ স্বীকার করেছেন, তা জাতির কাছে চিরকাল স্মরণীয় থাকবে।”

মির্জা ফখরুল বলেন, “দীর্ঘ ১২ বছর ধরে দেশের সবচেয়ে দেশপ্রেমিক বাহিনী সেনাবাহিনী এবং সশস্ত্র বাহিনীকে এক গভীর চক্রান্তের মাধ্যমে খালেদা জিয়ার কাছ থেকে দূরে রাখা হয়েছিল। কিন্তু আজকের এই সম্মান প্রদর্শন পুরো জাতির জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ ও আনন্দের মুহূর্ত। আমরা মর্মাহত হয়েছি, একই সঙ্গে আমরা গর্বিত যে, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, এবং বিমান বাহিনীর প্রধানরা তাকে এই সম্মান দিয়েছেন।”

তিনি সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান এবং বলেন, “আজকের এই অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি নতুন অধ্যায় তৈরি করল। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান, বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁনকে বিশেষ ধন্যবাদ জানাই। তাদের এই উদ্যোগ শুধু বিএনপির জন্য নয়, পুরো জাতির জন্য।”

এরপর মির্জা ফখরুল আরও বলেন, “বাংলাদেশের গণতন্ত্র এবং স্বাধীনতার জন্য খালেদা জিয়া আজীবন লড়াই করেছেন। তার এই অবদানের জন্য তাকে জাতি কখনো ভুলতে পারবে না।” তিনি বলেন, “আজকের এই দিন আমাদের সকলের জন্য একটি অনুপ্রেরণা, কেননা এই দেশ তার নেতৃত্বে সত্যিকার অর্থে গণতান্ত্রিকভাবে এগিয়ে যেতে পারবে।”

সর্বশেষ, তিনি জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আমরা শুধু খালেদা জিয়ার প্রতি সম্মান জানাই না, আমরা সকলের কাছে চাহিদা রাখি—বাংলাদেশের গণতন্ত্র, স্বাধীনতা এবং সুশাসনের জন্য আমাদের একসাথে কাজ করতে হবে। শুধু এর মাধ্যমে দেশ এগিয়ে যাবে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *