হিলি প্রতিনিধি ॥ ভারত থেকে পেঁয়াজের আমদানি বৃদ্ধি পাওয়ায় দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরের খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম কমেছে। প্রায় এক সপ্তাহ আগে যেখানে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম ছিল ৯০-৯৫ টাকা কেজি, সেখানে এখন তা ৭৫-৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ক্রেতারা জানিয়েছেন, ভারতীয় পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমেছে, তবে তারা আরও কমে আসার আশা প্রকাশ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) হিলি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সাপ্তাহিক হাটের দিন সাধারণ ক্রেতাদের মধ্যে খুশি বিরাজ করছে। সাইদুর রহমান সাজু নামের এক ক্রেতা জানান, গত সপ্তাহের চেয়ে আজ পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমেছে। তিনি বলেন, "গত সপ্তাহে ৯০-৯৫ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ কিনেছিলাম, কিন্তু আজ একটু ভালো মানের পেঁয়াজ ৮০ টাকা কেজি দরে কিনলাম। তবে যদি দাম ৫০ টাকা বা তার নিচে আসত, তাহলে আরও ভালো হতো।"
বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা শাকিল আহমেদ ও মইনুল হোসেন জানিয়েছেন, কিছুদিন আগে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি কমে যাওয়ায় দাম বাড়ছিল। তখন তারা ৯০ টাকা কেজি পাইকারি দামে পেঁয়াজ কিনে ৯৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছিলেন। তবে বর্তমানে ভারত থেকে পেঁয়াজের আমদানি বেড়ে যাওয়ায় দাম কমেছে। তারা আশা করছেন, আমদানি আরও বৃদ্ধি পেলে পেঁয়াজের দাম আরও কমে আসবে।
হিলি উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপ-সহকারী কর্মকর্তা মো. ইউসুফ আলী জানিয়েছেন, গত ২০ নভেম্বর হিলি বন্দর দিয়ে ভারত থেকে ৪০৫ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। আমদানির এই বৃদ্ধি বাজারে পেঁয়াজের দাম কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
এদিকে, বাজারে পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমলেও ক্রেতাদের দাবি, দাম আরও কমাতে হবে, বিশেষ করে শীতকাল আসন্ন হওয়ায় পেঁয়াজের চাহিদা বেড়ে যেতে পারে। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি আরও বৃদ্ধি পেলে বাজারে স্থিতিশীলতা আসবে এবং দাম আরও কমতে পারে।
হিলি স্থলবন্দরটি দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক পয়েন্ট, যেখানে ভারত থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য যেমন পেঁয়াজ, মরিচ, লবণ, চাল ইত্যাদি আমদানি হয়। আমদানির এই বৃদ্ধি সাধারণ মানুষকে কিছুটা স্বস্তি দিলেও, ব্যবসায়ীরা আশা করছেন দাম আরও কমবে।