ডেস্ক রিপোর্ট ॥ ‘সশস্ত্র বাহিনী দিবস’ উপলক্ষে সেনাকুঞ্জে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ঢাকা সেনানিবাসে উপস্থিত হয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। দীর্ঘদিন পর তাঁর এই উপস্থিতি নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, “তাকে আনতে পেরে আমরা গর্বিত।”
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিটে গুলশানের বাসভবন ফিরোজা থেকে রওনা হয়ে, খালেদা জিয়া সেনাকুঞ্জে পৌঁছান। অনুষ্ঠানস্থলে গিয়ে তিনি এদিন সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। ড. ইউনূস তাঁর বক্তৃতায় বলেন, “শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া এক যুগ ধরে এখানে আসার সুযোগ পাননি। আজ তার উপস্থিতিতে আমরা গর্বিত। দীর্ঘদিনের অসুস্থতার পর বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে মিলিত হওয়ার জন্য তাকে আবারও ধন্যবাদ জানাই এবং তার আশু সুস্থতা কামনা করি।”
এর আগে, ২০১০ সালের ১৩ নভেম্বর খালেদা জিয়াকে তার ৪০ বছরের স্মৃতি বিজড়িত ঢাকা সেনানিবাসের বাসা থেকে জবরদস্তি করে বের করে দেওয়া হয়েছিল, যা ছিল একটি বিতর্কিত ঘটনা। আজ, দীর্ঘ ৮ বছরের পর তিনি আবারও সেনাকুঞ্জে উপস্থিত হয়ে সেই পুরোনো স্মৃতি ফিরে পান।
এই দিনটি ছিল খালেদা জিয়ার জন্য বিশেষ, কারণ ২০১৮ সালের পর এটি ছিল তাঁর প্রথম প্রকাশ্য কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ। এর আগে, তিনি ২০১৮ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি সিলেট সফরে গিয়েছিলেন। এছাড়া, ২০১২ সালে সশস্ত্র বাহিনী দিবসে সেনাকুঞ্জের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছিলেন তিনি।
এই অনুষ্ঠানে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং বিএনপির স্থায়ী কমিটির ২৬ জন শীর্ষ নেতা উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা সবাই সশস্ত্র বাহিনী দিবসের সংবর্ধনায় আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন।
এই দিনটির মাধ্যমে বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব একদিকে যেমন দলের ঐতিহ্যকে পুনরুজ্জীবিত করলেন, তেমনি খালেদা জিয়ার সেনাকুঞ্জে উপস্থিতি ছিল বিএনপির জন্য একটি বিশেষ রাজনৈতিক মুহূর্ত।