মৌলভীবাজার প্রতিনিধি ॥ বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আলহাজ্ব মোঃ মুজিবুর রহমান চৌধুরী বলেছেন, "পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলেও তার ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে।" তিনি এ কথা বলেন মৌলভীবাজার রোডের নাহার পেট্রোল পাম্পের সামনে অনুষ্ঠিত এক গণসমাবেশে, যা শ্রীমঙ্গল উপজেলার ৩ নং সদর ইউনিয়ন বিএনপির সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন আয়োজন করে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাজী মুজিব আরও বলেন, "দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ভারতে বসে দেশ ও জাতির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। তার দোসররা আমাদের আশপাশেই রয়েছে। ছাত্রজনতা রক্তে অর্জিত বিজয়কে কোনোভাবেই নস্যাৎ করতে দেয়া যাবে না।" তিনি ছাত্রলীগ এবং আওয়ামী লীগকে "সন্ত্রাসী সংগঠন" আখ্যায়িত করেন এবং তাদের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
গণসমাবেশের সভাপতিত্ব করেন ৩নং সদর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ নুরুল ইসলাম এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাহমুদুল হাসান ঝারু। অন্যান্য বক্তাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শ্রীমঙ্গল উপজেলা বিএনপির সভাপতি নুরুল আলম সিদ্দিকী, সাধারণ সম্পাদক মোঃ তাজ উদ্দিন (তাজু), জেলা বিএনপির সদস্য মোঃ দুরুদ আহমদ এবং উপজেলা যুবদলের আহবায়ক মোঃ মহি উদ্দিন ঝারু।
হাজী মুজিব বলেন, "ভোট চুরি করে শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ আসন থেকে বারবার এমপি-মন্ত্রী হওয়া দুর্নীতিবাজ ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা দাবিদার আব্দুস শহীদ এমপি ও তার দলের নেতাকর্মীরা গত ১৬ বছর ধরে বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর সীমাহিন জুলুম-নির্যাতন চালাচ্ছেন। মিথ্যা মামলা ও হয়রানির মাধ্যমে অনেক বিএনপি নেতাকর্মী বিনা অপরাধে জেলে গেছেন।"
তিনি অভিযোগ করেন, "শহীদ ও তার ভাইয়েরা অবৈধভাবে সরকারি জায়গা দখল করে সম্পদের পাহাড় বানিয়েছেন এবং বিদেশে টাকা পাচার করেছেন। এসব অবৈধ সম্পদের জন্য তাদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে।"
অন্যান্য বক্তারা বলেন, "ছাত্র-জনতার বিজয়কে ম্লান করার জন্য যারা অপকর্মে জড়িত তাদের রুখে দিতে হবে। বিগত দানব সরকারকে সরাতে ছাত্র-জনতা তাদের রক্ত দিয়েছে। তাদের আন্দোলনের মাধ্যমে দেশের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে।"
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন ৩নং ইউনিয়নের বিএনপির সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী, যারা গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় একসাথে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। বক্তারা জানান, তারা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ যে, ছাত্র-জনতার অর্জিত বিজয়কে নস্যাৎ করার সকল ষড়যন্ত্রকে সম্মিলিতভাবে মোকাবেলা করবেন।
সমাবেশে বক্তব্য রাখার সময় নেতারা একত্রিত হয়ে তাদের দৃঢ় প্রত্যয় প্রকাশ করেন, যাতে আগামী দিনে ছাত্র-জনতা যেন কোনো অবস্থাতেই তাদের অর্জিত বিজয় হারাতে না পারে এবং গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সরকার পরিবর্তনের দাবিতে সংগঠিত হয়।