ডেস্ক রিপোর্ট ॥ অনেক বছর আগে মৃত্যুবরণ করা বাবা ভাঙ্গা, যিনি বুলগেরিয়ার এক রহস্যময় নারী, তার ভবিষ্যদ্বাণী নিয়ে আবার আলোচনা শুরু হয়েছে। বিখ্যাত এই ভবিষ্যদ্রষ্টা একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার বিষয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করে গিয়েছিলেন, যার মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের টুইন টাওয়ারে সন্ত্রাসী হামলা, প্রিন্সেস ডায়ানার মৃত্যু এবং চেরনোবিল পারমাণবিক বিপর্যয়। সম্প্রতি, ২০২৪ সালের পরবর্তী ঘটনাবলীর বিষয়ে তার ভবিষ্যদ্বাণী নতুন করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।

বাবা ভাঙ্গা বিশ্বাস করেন যে, ২০২৫ সালে পৃথিবীর ধ্বংস শুরু হবে এবং এই ধ্বংসযজ্ঞের ১৮ বছরের মধ্যে অর্থাৎ ২০৪৩ সালে মুসলিম রাষ্ট্রগুলো ইউরোপের উপর আধিপত্য করবে। এই প্রেক্ষাপটে, তার ভবিষ্যদ্বাণী অনুযায়ী, ইউরোপে বিরাট যুদ্ধ ও সংঘাত সৃষ্টি হবে। তিনি আরও দাবি করেন যে, আগামী বছর থেকে পৃথিবীতে এলিয়েনের আনাগোনা শুরু হবে এবং ২০৭৬ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী কমিউনিস্ট শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে।

এই ভবিষ্যদ্বাণী নিয়ে অনেক বিতর্ক রয়েছে, বিশেষ করে তা কতটা সঠিক তা নিয়ে। বাবা ভাঙ্গার পূর্ববর্তী অনেক ভবিষ্যদ্বাণী সত্যি হয়েছে বলে দাবি করা হয়, যার ফলে অনেকেই তার কথাকে গুরুত্ব দেন। তার এই ভবিষ্যদ্বাণী নিয়ে বিভিন্ন সমাজ, সংস্কৃতি ও ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে আলোচনা চলছে।

ফরাসি জ্যোতিষী নস্ত্রাদামুসও একই ধরনের ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন। তার মতে, ২০২৫ সালে ইউরোপজুড়ে বিশাল সংঘাতের সৃষ্টি হবে। ফলে, বাবা ভাঙ্গার ভবিষ্যদ্বাণী ও নস্ত্রাদামুসের ভবিষ্যদ্বাণী একত্রিত হয়ে বিশ্ব রাজনীতিতে নতুন দিক উন্মোচন করছে।

মৃত্যুর ২৮ বছর পরও বাবা ভাঙ্গার কথা বিশ্বজুড়ে আলোচিত হচ্ছে। ২০২৪ সাল সামনে রেখে তার করা ভবিষ্যদ্বাণী, বিশেষত মুসলিম শাসনের কথা, অনেকেই উদ্বেগের সঙ্গে গ্রহণ করছেন। এই পরিস্থিতিতে, মানবজাতির ভবিষ্যৎ নিয়ে সকলের মনে উদ্বেগ ও অস্বস্তি বিরাজ করছে।

এখন দেখার বিষয়, বাবা ভাঙ্গার এই ভবিষ্যদ্বাণীগুলো কি সত্যি হয়, নাকি কেবল পূর্বাভাস? সময়ের সাথে সাথে মানুষ আশা করে যে, অশুভ এই ভবিষ্যদ্বাণীগুলো ভুল প্রমাণিত হবে এবং পৃথিবী শান্তিতে বাস করবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *