বরিশাল প্রতিনিধি ॥ ছাত্র-জনতার অভ্যূত্থান পরবর্তী অভিজ্ঞতা বিনিময় ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রোববার বিকেলে বরিশাল প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে বরিশালের ছাত্র-জনতার ব্যানারে আয়োজিত এই সভায় বিভিন্ন শ্রেণির বক্তারা গণঅভ্যূত্থানের শহিদদের পরিবারকে পর্যাপ্ত সহায়তা এবং আহতদের জন্য দ্রুত চিকিৎসার দাবি জানান।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বরিশালের অভ্যূত্থানের সংগঠক সুজয় শুভ। প্রধান অতিথি ছিলেন লেখক ও গবেষক মাহা মির্জা। সঞ্চালনায় ছিলেন সংগঠক হুজাইফা রহমান। সভায় বক্তব্য রাখেন শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজের সংগঠক ডা. ইশতিয়াক শান্ত, ডা. রেজা তাইমুর মাহমুদ, ডা. মশিউর রহমান, বাকেরগঞ্জের সংগঠক হাসিবুল আলম তুরান, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগঠক ভূমিকা সরকার, অনিকা সিথি, বাবুগঞ্জের সংগঠক জাহিদ হাসান, ঝালকাঠি জেলার সংগঠক মো. লিখন, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের সংগঠক জিএম রাব্বী, ব্রজমোহন (বিএম) কলেজের শিক্ষার্থী ও বরিশাল নগরের সংগঠক অনর্ব মুবিনসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
প্রধান অতিথি মাহা মির্জা সভায় বলেন, “জুলাই মাসের গণভ্যূত্থান আন্দোলন ছিল সকল শ্রেণিপেশার মানুষের মধ্যে বৈষম্য দূর করার লক্ষ্যে। কিন্তু সম্প্রতি ঢাকায় শ্রমিকদের তিন মাসের বকেয়া বেতনের আন্দোলনের সময় পুলিশ ও সেনাবাহিনী গুলি চালিয়ে মানুষ হত্যা করেছে। শ্রম উপদেষ্টার বক্তব্য অনুযায়ী, এটি ‘বহিরাগতদের আন্দোলন’ বলে উল্লেখ করা হয়।
তিনি আরো বলেন, এমন কথা আওয়ামী সরকার বলতো। সব ঘটনার দায় চাপাতো বিএনপি-জামায়াত-জঙ্গিরাদের উপর। যা আমরা চাই না। আমাদের বৈষম্যের বিরুদ্ধে সচেতনভাবে কাজ করতে হবে।
সভায় বক্তারা বরিশালের গণঅভ্যূত্থানের নানা দিক তুলে ধরেন এবং ভবিষ্যতে আরও কার্যকর আন্দোলনের উপর গুরুত্বারোপ করেন। বক্তারা একযোগে দাবি করেন যে, সমাজে সকল বৈষম্যের বিরুদ্ধে একত্রিত হয়ে কাজ করা উচিত।