ডেস্ক রিপোর্ট: রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগের সম্ভাবনা নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে দেশে জোর গুঞ্জন চলছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ সম্পর্কিত নানা বক্তব্যের প্রেক্ষাপটে সরকার এবং আন্দোলনকারীদের মধ্যে তীব্র বিতর্ক দেখা দিয়েছে। মঙ্গলবার, রাষ্ট্রপতি ইস্যুতে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেছেন আইন ও তথ্য উপদেষ্টা। সেই বৈঠকে প্রধান বিচারপতিকে রাষ্ট্রপতি হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হলেও তিনি বিনয়ের সঙ্গে তা ফিরিয়ে দেন।
বৈঠকটি প্রায় এক ঘণ্টা ধরে চলে এবং সুপ্রিম কোর্টের একাধিক সূত্রে জানা যায়, প্রধান বিচারপতি দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে তার দায়িত্বে থাকতে আগ্রহী। এর আগে, আন্দোলনকারীরা বঙ্গভবন ঘেরাও করে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন। বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল টুয়েন্টিফোরে এ খবর প্রকাশ পায়।
অন্যদিকে, রাষ্ট্রপতি পদত্যাগের পর কারা তার জায়গায় বসবেন, তা নিয়ে আলোচনা চলছে। বর্তমান স্পিকার পদত্যাগ করেছেন এবং ডেপুটি স্পিকার কারাগারে আছেন। ফলে সাংবিধানিকভাবে রাষ্ট্রপতি পদত্যাগ করলে তা স্পিকারের কাছে দেয়ার সুযোগ নেই। সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল জানান, রাষ্ট্রপতি যদি পদত্যাগ করতে চান, তাহলে তিনি নিজেই পদত্যাগপত্র দেবেন, যা কোনও বিশেষ কাউকে এড্রেস করার প্রয়োজন নেই।
এই পরিস্থিতিতে, সাংবিধানিক কাঠামোর মধ্যে চলার জন্য দেশের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী হবে, তা দ্রুত পরিস্কার করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন আইনজীবীরা। এদিকে, রাষ্ট্রপতি ইস্যুতে আইন উপদেষ্টা বুধবার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি, তার বক্তব্য ছিল, “এ বিষয়ে আমি কিছু বলব না, এখন অনেক ব্যস্ত আছি।”