ডেস্ক রিপোর্ট: বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আজ এক প্রজ্ঞাপনে ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। এই সিদ্ধান্ত দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, গত ১৫ বছরে ছাত্রলীগ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যকলাপে জড়িত ছিল, যার মধ্যে হত্যাকাণ্ড, নির্যাতন, ধর্ষণ ও টেন্ডারবাজির মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে আরও উল্লেখ করা হয় যে, গত ১৫ জুলাই ২০২৪ তারিখে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আন্দোলনরত ছাত্রদের ওপর হামলা চালিয়ে শতশত নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করেছে। সরকারের দাবি, ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে সরকারের কাছে পর্যাপ্ত তথ্য-প্রমাণ রয়েছে, যা ছাত্রলীগের কার্যকলাপের গভীর তদন্তে সহায়ক হবে। প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে, “সন্ত্রাস বিরোধী আইন, ২০০৯ এর ধারা ১৮ এর উপ-ধারা (১) এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।”

এই নিষেধাজ্ঞা অবিলম্বে কার্যকর হবে এবং ছাত্রলীগের নাম ওই আইনের তফসিল-২ এ নিষিদ্ধ সত্তা হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এদিকে, সরকারের এই পদক্ষেপ নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মধ্যে তোলপাড় শুরু হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি দেশের ছাত্র রাজনীতির জন্য একটি নতুন অধ্যায় শুরু করতে পারে।

এই নিষেধাজ্ঞার ফলে ছাত্র রাজনীতিতে নতুন পরিবর্তন আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *