ডেস্ক রিপোর্ট: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান আজ (২২ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ লেবার পার্টির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় মন্তব্য করেছেন, “একজন শাসক যখন পালিয়ে যায়, তখন তার পদত্যাগপত্রের কোনো গুরুত্ব থাকে না।” তিনি রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের বিষয় নিশ্চিত করার পর আলোচনা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন এবং বলেন, “নতুন করে আলোচনা সন্দেহজনক ও দুশ্চিন্তার।”
নজরুল ইসলাম খান বলেন, রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতে সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ প্রয়োজন। কিছু দল সংখ্যানুপাতে আসন বণ্টনের কথা বলছে, যা আগে বলা হয়নি। তিনি উল্লেখ করেন, “এটি সব রাজনৈতিক দলের আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্তের বিষয়। ভারতের ইংল্যান্ডেও সংখ্যানুপাতের উদাহরণ নেই। নেপাল সংখ্যানুপাতের সমস্যা মোকাবিলা করছে।”
তিনি ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানের পর নতুন পরিস্থিতিতে জণআকাঙ্ক্ষার বিরুদ্ধে না যাওয়ার আহ্বান জানান এবং বলেন, “কোন ব্যক্তি গোষ্ঠীর বিশেষ চিন্তা বাস্তবায়ন করা উচিত নয়। দেশে বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা চলছে, যা মোকাবিলা করতে হবে।”
সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান বলেন, “দেশের মূল জায়গাগুলোতে এখনো ফ্যাসিস্টদের দোসররা বসে আছে।” তিনি উল্লেখ করেন, “আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষ করে নির্বাচন দিতে হবে।”
লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান অভিযোগ করেন যে, রাষ্ট্রপতি ইসলামী ব্যাংক থেকে অর্থ পাচারের সঙ্গে জড়িত। তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হত্যা ও গুমের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার করতে হবে।”
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, ছাত্র মিশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি সৈয়দ মো. মিলন এবং লেবার পার্টির কেন্দ্রীয় নেতারা।