ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ গত ১৩ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ২২ দিনের জন্য ইলিশ নিধন, বিক্রি ও পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও ঝালকাঠিতে এই নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে চলছে মা ইলিশের নিধন। স্থানীয় মৎস্য অফিসের যোগসাজসে, অনেক জেলে নদীতে অবাধে ইলিশ নিধন অব্যাহত রেখেছেন। সরেজমিন অনুসন্ধানে দেখা গেছে, বিষখালী ও সুগন্ধা নদীতে শতাধিক মানুষ লক্ষাধিক মিটার জাল নিয়ে মাছ ধরার মহোৎসবে মেতেছে, যা রাতের অন্ধকারে ঘটছে।
স্থানীয় জেলেরা অভিযোগ করছেন যে, মৎস্য অফিসের লোকজনের সঙ্গে লুকোচুরির খেলা চলছে। নলছিটির তেতুলবাড়িয়া এলাকার আমিনুল ইসলাম বলেন, “নিষেধাজ্ঞা শুরুর দিন থেকেই নদীতে চলছে অবাধে মা ইলিশ নিধন। অভিযানের খবর জেনে জেলেরা নদীতে নামার আগেই নৌকায় লুকিয়ে যায়।”
কুলকাঠি গ্রামের জুয়েল হাওলাদার জানান, “শতাধিক ডিঙ্গি নৌকা নদীতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। অভিযান শুরু হলে জেলেরা খালে আত্মগোপন করে।” এলাকার নান্টু সেলিম জানান, তালিকাভুক্ত জেলেরা মাছের ভাগের বিনিময়ে মৌসুমি জেলেদের সহযোগিতা করছেন।
বিভিন্ন স্থান থেকে ক্রেতারা ইলিশ কেনার জন্য নদীর তীরে এসে অপেক্ষা করছেন। স্থানীয় জেলেরা জানাচ্ছেন, রাতের বেলা জাল ফেলাটা বেশি নিরাপদ, তাই তারা রাতেই বেশি মাছ ধরছেন।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমরা গোপন খবর পেয়ে অভিযানে যাচ্ছি, কিন্তু অসাধু জেলেদের কেউ খবর দিয়ে দেয়।”
তবে স্থানীয়রা বলছেন, প্রশাসনের অভিযানে আসার আগেই তাদের খবর দেওয়া হচ্ছে, যার কারণে অভিযানগুলো কার্যকর হচ্ছে না। এভাবে মা ইলিশের নিধন চলতে থাকলে প্রজাতির জন্য বড় ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।