পিরোজপুর প্রতিনিধি: জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পিরোজপুর জেলার ইন্দুরকানী থানা রক্ষায় বিশেষ অবদানের জন্য পুরস্কৃত হয়েছেন এস আই আব্দুল জলিল। গত বুধবার পিরোজপুরের পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এসআই আব্দুল জলিলকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে থানা রক্ষায় সাহসিকতার জন্য বিশেষ অর্থ সম্মাননা পুরস্কার প্রদান করেন পুলিশ সুপার খাঁন মুহাম্মদ আবু নাসের।
শেখ হাসিনা সরকার পতনকালে সারাদেশের নৈরাজ্যের সময় পিরোজপুরের ইন্দুরকানী থানা রক্ষায় বীরত্ব পূর্ণ সাহসিকার মধ্য দিয়ে বিশেষ অবদান রাখেন এস আই আব্দুল জলিল। পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশনায় ও সহকর্মীদের সহযোগিতায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তিনি নানা কৌশলে এবং নিজস্ব বুদ্ধিমত্তায় অস্থিতিশীল পরিবেশ রক্ষায় সক্ষম হন। গত ৫ আগষ্ট পূর্বাপর ইন্দুরকানী থানায় একাধিক বার হামলার চেষ্টা করে দুষ্কৃতিকারীদের একটি মহল।
এসআই আব্দুল জলিল সে সময় কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হন। তিনি স্থানীয় সুশীল সমাজের সহযোগিতায় অত্যন্ত সাহসিকতা এবং দক্ষতার সাথে সেই হামলা প্রতিহত করেন এবং থানার নিরাপত্তা নিশ্চিত করেন। তার এই সাহসিকতা এবং কর্তব্যনিষ্ঠা তার সহকর্মী এবং উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে।
এই পুরস্কার প্রাপ্তির মাধ্যমে এসআই আব্দুল জলিলের অসামান্য বীরত্ব এবং দায়িত্বশীলতার স্বীকৃতি প্রদান করা হয়েছে। এই স্বীকৃতি তার মতো অন্য পুলিশ সদস্যদেরও সাহস এবং দায়িত্বশীলতার সাথে তাদের কর্তব্য পালন করতে উদ্বুদ্ধ করবে।
এসআই আব্দুল জলিলের এই সাফল্যে ইন্দুরকানী থানার অন্যান্য সদস্যরাও আনন্দিত এবং তারা তার এই অর্জনকে উদযাপন করছেন।
আব্দুল জলিল ঝিনাইদহ সদরের কালিচরনপুর ইউনিয়নের বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের আনসার উদ্দিন মন্ডল এর ছেলে। ৫ ভাই ও ৫ বোনের মধ্যে জলিল নবম। তিনি ছাত্র জীবন থেকেই খেলা ধুলার প্রতি আকৃষ্ট ছিলেন। কর্মজীবনে পুলিশে যোগদানের পরে কাবাডি খেলায় বিশেষ অবদান রেখে বাংলাদেশ জাতীয় কাবাডি দলের সহ অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি জেলা কাবাডি দলের কোচ ও জেলা কাবাডি ফেডারেশনের রেফারির দায়িত্বও পালন করেন তিনি। দাম্পত্য জীবনে তিনি দুই ছেলের জনক।
এসআই আব্দুল জলিল বলেন, “আমার পুরস্কার প্রাপ্তিতে উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সহকর্মী ও স্থানীয় সুশীল সমাজের যারা আমার সাথে থেকে থানা রক্ষায় সহযোগিতা করেছেন তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। এই স্বীকৃতি আমাকে আরও বেশি দায়িত্বশীল এবং সাহসী হতে উদ্বুদ্ধ করবে।”
ইন্দুরকানী এমইউ মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হেলাল উদ্দিন গাজী বলেন, এসআই আব্দুল জলিল ইন্দুরকানী থানায় প্রায় আড়াই বছর ধরে কর্মরত থেকে এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষায় সর্বদা সচেষ্ট আছেন। বিশেষ করে গত ৫ আগষ্ট ইন্দুরকানী থানা রক্ষায় তাঁর ভূমিকা অনস্বীকার্য।