ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ ঝালকাঠি জেলা শিক্ষা ভবনের মাঝখানে সৌন্দর্যবর্ধন ও অক্সিজেন সরবরাহের জন্য রোপণ করা চারটি পাম গাছ কেটে ফেলেছেন শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম মোস্তফা। কোনো ধরনের অফিশিয়াল প্রক্রিয়া না মেনেই এ কাজ করা হয়, যা স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। এখন সেখানে লাগানো ফ্লোর টাইলস এমনভাবে রাখা হয়েছে যে, তা দেখতে কবরের মতো মনে হচ্ছে।

জানা গেছে, ঝালকাঠি জেলা শিক্ষা ভবনে জেলা শিক্ষা অফিসের কার্যক্রম তিন তলা ভবনের দুই তলায় পরিচালিত হয়। নিচতলায় রয়েছে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দফতর। মাঝের ফাঁকা জায়গায় সৌন্দর্যবর্ধন ও অক্সিজেন সরবরাহের জন্য প্রায় ২০ বছর বয়সী চারটি পাম গাছ রোপণ করা হয়েছিল, যা ইতোমধ্যেই বড় হয়ে গিয়েছিল।

স্থানীয় শিক্ষকরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “জেলা শিক্ষা ভবনে চারটি পাম গাছ ছিলো, যা দেখতে খুবই ভালো লাগতো। কিন্তু সেগুলো কেটে ফেলে সেখানে টাইলস লাগানোর কোনো প্রয়োজন ছিল না।” তাঁরা মনে করেন, বর্তমানে রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ না থাকায় কর্তৃপক্ষ ইচ্ছেমতো কাজ করতে পারছে।

জেলা শিক্ষা অফিসার সুনিল চন্দ্র সেন বলেন, “পূজোর ছুটিতে আমি বাড়িতে যাওয়ার সময় গাছগুলো কাটা হয়েছে। বিষয়টি জেলা প্রশাসনের আইনশৃঙ্খলা সভায় উত্থাপন করা হবে।”

এদিকে, নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম মোস্তফা এ বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, “ছোট গাছ কেটেছি, এতে সভা ডেকে পারমিশন নিতে হবে? সৌন্দর্যবর্ধনের জন্যই করেছি। আপনি যা পারেন লিখে দেন” বলে দাম্ভিকতার সঙ্গে ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন।

এ ঘটনায় শিক্ষা কর্মকর্তাদের মধ্যে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে এবং কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি উঠেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *