ডেস্ক রিপোর্ট: জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহ-সভাপতি ও দলীয় মুখপাত্র রাশেদ প্রধান বলেছেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গণহত্যার অভিযোগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে। তিনি ১৮ নভেম্বরের মধ্যে শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করে ট্রাইব্যুনালে হাজির করার নির্দেশনা দিয়েছেন। এদিকে, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি, তবে জানিয়েছেন যে শেখ হাসিনা ভারতে আছেন এবং থাকবেন।
রাশেদ প্রধান শুক্রবার বিকালে সাতক্ষীরা শহীদ আসিফ চত্বরে অনুষ্ঠিত একটি সমাবেশে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, “কথাবার্তা পরিষ্কার: শেখ হাসিনাকে ১৮ নভেম্বরের মধ্যে ফেরত না দিলে বাংলার মাটিতে ভারত বিরোধী আন্দোলন শুরু হবে।” তিনি আরও বলেন, “শেখ পরিবার বাংলাদেশে রাজনীতি করেছে নিজেদের সম্পদ বৃদ্ধি করার জন্য এবং ভারতের সেবা করার জন্য।”
তিনি উল্লেখ করেন, শেখ মুজিবের মৃত্যুর পর শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা ভারতে বসবাস করেছেন এবং শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের অনুমতি ছাড়া তারা বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারতেন না।
রাশেদ প্রধান অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, “আপনারা হাজারও শহিদের রক্তের বিনিময়ে ক্ষমতায় এসেছেন। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সফলতায় বৈষম্য করবেন না।” তিনি সকল ছাত্র সংগঠন, রাজনৈতিক দল এবং জনগণের সম্মান দাবি করেন এবং জানান যে শুধুমাত্র জুলাই-আগস্ট গণহত্যা নয়, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে পিলখানা, শাপলা চত্বর ও লগি-বইঠা গণহত্যার বিচারও করা উচিত।
এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন সাবেক মুখপাত্র সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের নিজাম উদ্দিন আদনান, ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশের খালেদ মাহমুদ, বাংলাদেশ ছাত্র মিশনের সৈয়দ মো. মিলন, রাষ্ট্রসংস্কার ছাত্র আন্দোলনের কবি আহমেদ ইসহাক এবং জাগপা ছাত্রলীগের সাতক্ষীরা জেলার প্রধান সমন্বয়ক মোতাহার নেওয়াজ মিনাল।