ডেস্ক রিপোর্ট: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্প্রতি ছাত্রজনতার আন্দোলনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের মামলা, গ্রেপ্তার ও হয়রানি না করার নির্দেশ দিয়েছে। তবে এই নির্দেশের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে আওয়ামী লীগ। দলটি তাদের ভেরিফাইয়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে বলেছে, “যারা আন্দোলনের সময় পুলিশ হত্যা ও সাধারণ মানুষের ওপর নির্মম অত্যাচার করেছে, তাদেরকে দায়মুক্তি দেওয়া হয়েছে।”
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, “এমন ঘটনা যেন ৭৫-এর ১৫ আগস্টের পরবর্তী ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়।” তারা আরও দাবি করে, “বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর খন্দকার মোশতাকের মতো বর্তমান সরকারও হত্যাকারীদের রক্ষা করতে চাইছে।”
আওয়ামী লীগ বলছে, জনগণ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য প্রস্তুত। তারা ইনডেমনিটি বাতিল করে সকল হত্যাকারী ও লুণ্ঠনকারীদের বিচার দাবি করেছে। “১৫ আগস্টের খুনীদের ইনডেমনিটি দিয়েও রক্ষা করতে পারেনি খন্দকার মোশতাক, জনগণ আবারও ইনডেমনিটি বাতিল করবে,” মন্তব্য করেছে দলটি।
এছাড়া, ১৫ জুলাই থেকে শুরু হওয়া আন্দোলনে হত্যাকাণ্ড ও লুটপাটের পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের জন্য তিন সদস্যবিশিষ্ট জুডিশিয়াল কমিটি গঠনের উদ্যোগের কথাও তুলে ধরা হয়েছে। তবে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে যে তিনি তদন্ত স্থগিত করেছেন।
আওয়ামী লীগের ভাষ্যমতে, ড. ইউনূস যুক্তরাষ্ট্র সফরে দাবি করেছেন, আন্দোলনটি একটি সূক্ষ্ম পরিকল্পনা ছিল। “এটি প্রমাণ করে যে হত্যাকাণ্ডগুলি পূর্ব পরিকল্পিত,” বলেছে দলটি।
আওয়ামী লীগ আশাবাদী, দেশের মুক্তিকামী জনগণ আবারও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে ইনডেমনিটি বাতিল করবে এবং সকল হত্যাকারী ও লুণ্ঠনকারীদের বিচার হবে।