পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার মহিপুর থানা শ্রমিক দলের সভাপতি পিন্টু ভদ্র’র বহিস্কারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে থানা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
বৃহস্পতিবার রাত ৯ টার দিকে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে মিছিলটি বের হয়। মিছিলটি থানা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে মৎস্য মার্কেটে প্রতিবাদ সভা করা হয়। এতে প্রায় তিন শতাধিক নেতা-কর্মী অংশগ্রহণ করে। মিছিলে “পিন্টুর দুই গালে, জুতা মারো তালে তালে” “এই মুহূর্তে দরকার, পিন্টুর বহিস্কার” সহ নানা ধরনের স্লোগান দিতে থাকেন তারা।
এসময় মহিপুর থানা বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মজনু গাজী, প্রচার সম্পাদক মেহেদী হাসান ফয়সাল, থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ফরিদ খান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম রাজিব, থানা ছাত্রদলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদিন সবুজসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, দীর্ঘ ১৭ বছর স্বৈরাচার আওয়ামী সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীর সাথে আঁতাঁত করে বিভিন্ন ব্যবসাবাণিজ্যসহ নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করেছেন শ্রমিক দলের ওই নেতা। গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচার পতনের পর রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের সাথে সাথে দলীয় পদ ব্যবহার করে তার বাহিনীর মাধ্যমে সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে ব্যবসায়ীদের কাছে চাঁদাবাজি, দখল বাণিজ্য, দলীয় নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষের উপর নির্যাতনসহ নানা ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে আসছে।
এদিকে তার দুই ভাই একই সংগঠনের নেতা আলম ও মশিউর ভদ্র’র বিরুদ্ধেও রয়েছে বিস্তর অভিযোগ। এছাড়া পারিবারিক বিরোধের জের ধরে বিভিন্ন লোকদের আটকে রেখে অমানসিক নির্যাতন-নিপীড়ন করার অভিযোগসহ ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসরদের পক্ষে এখনো কাজ করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এসব কর্মকাণ্ডে বাঁধা দেওয়ায় দলের অনেক নেতা-কর্মী শ্রমিক দলের এ নেতার হাতে অপমানিত ও লাঞ্চিত হয়েছে একাধিকবার। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনা উপেক্ষা করে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করা ওই শ্রমিক দল নেতাকে অবিলম্বে দল থেকে বহিস্কারের দাবি জানিয়েছে স্থানীয় নেতা-কর্মীরা।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে মহিপুর থানা শ্রমিক দলের সভাপতি পিন্টু ভদ্র’র মোবাইলফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
মহিপুর থানা বিএনপির সভাপতি আব্দুল জলিল হাওলাদার বলেন, ‘ব্যক্তি আক্রোশের কারণে তার বহিস্কারের দাবিতে মিছিল করেছে একটি পক্ষ। মিছিল হলেই বহিস্কার করা যায়না। তার বিষয়ে যে অভিযোগ করা হয়েছে সেগুলো নিয়ে সাংগঠনিকভাবে আলোচনা করা হবে। সে অপরাধী প্রমাণিত হলে দল তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবে।’
পটুয়াখালী জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি অবগত নই। আপনার মাধ্যমেই জানতে পারলাম। তার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগের সত্যতা পেলে মূল দলের সাথে আলোচনা করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।