সিলেট প্রতিনিধি : সিলেট সরকারী ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজের ইউনানী বিভাগের সিনিয়র প্রভাষক ডা. জাকি ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে একাধিক গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। এডহক ভিত্তিতে নিয়োগপ্রাপ্ত ডা. জাকি ইব্রাহিম বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের মহাসচিব ডা. ইহতেশামুল হক চৌধুরীর রাজনৈতিক প্রভাবে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির সাথে জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে।
সূত্র জানায়, ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে ঔষধ ক্রয়ে তুঘলকি কান্ড ঘটানোর অভিযোগ রয়েছে ডা. জাকির বিরুদ্ধে। হাসপাতালের এ্যালোপ্যাথিক ও আয়ুর্বেদিক মেডিকেল অফিসার না থাকা সত্ত্বেও এক কোম্পানির এ্যালোপ্যাথিক ও আয়ুর্বেদিক প্রোডাক্ট দরপত্রে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ৭ মে ২০২৪ তারিখে প্রকাশিত টেন্ডার বিজ্ঞপ্তিতে সঠিক তথ্য প্রদান না করা এবং দরপত্র খোলার সময়সূচি পরিবর্তন করা হয়েছে।
ডা. জাকির বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হলেও তার বিরুদ্ধে গঠন করা তদন্ত কমিটি কার্যকরভাবে কাজ করতে ব্যর্থ হয়েছে। এদিকে, সিভিল সার্জনের নেতৃত্বে তদন্তের পর ব্যাপক অনিয়ম ধরা পড়ে। এর ফলে সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকও এ বিষয়ে পত্র জারি করেন।
সম্প্রতি, বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় কলেজের অনিয়ম প্রকাশিত হলে সিলেট প্রশাসনের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ডা. জাকি ও তার সহযোগীরা লাইসেন্স বিহীন চিকিৎসা কেন্দ্র চালাচ্ছেন, যা সাধারণ মানুষের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। কলেজের হাজিরা ব্যবস্থায় অনিয়ম এবং সরকারের সম্পত্তি আত্মসাতের অভিযোগও রয়েছে।
ডা. জাকির বিরুদ্ধে অভিযোগের মধ্যে রয়েছে কলেজের যন্ত্রপাতি ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার, এবং অবৈধভাবে ভূমি বেদখলের অভিযোগ। এ পরিস্থিতিতে কলেজের কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য প্রশাসনের প্রতি দাবি জানানো হয়েছে।