আগামী ১১ অক্টোবর থেকে উন্মুক্ত হচ্ছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তন ও মহড়া কক্ষ।
৩ দিন পর স্বল্প পরিসরে খুলবে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল থিয়েটার হল ও ২ টি মহড়া।(০৭ অক্টোবর ২০২৪)সোমবার , সকাল ১০.০০ টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সাথে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় জাতীয় নাট্যশালার মূল থিয়েটার হল এবং ১ ও ২নং কক্ষ নাটক ও মহড়ার জন্য আগামী ১১ অক্টোবর ২০২৪ তারিখ থেকে সীমিত পরিসরে খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। হল ও মহড়া কক্ষ বরাদ্দের ক্ষেত্রে বিদ্যমান নীতিমালার পাশাপাশি বিরাজমান পরিস্থিতি বিবেচনায় বিশেষ কিছু সতর্কতা অবলম্বন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন ও ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশের সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে শিল্পকলা একাডেমিতে সেনাবাহিনীর সদস্যরা অবস্থান করছেন। দেশের সার্বিক পরিস্থিতি উন্নতির সাথে সাথে সাংস্কৃতিক কর্মী ও সংগঠনের চাহিদার প্রেক্ষিতে স্বল্প পরিসরে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তন ও ২ টি মহড়া কক্ষ নাটক মঞ্চায়ন ও মহড়ার জন্য খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
পরিস্থিতি বিবেচনায় মানতে হবে যে নির্দেশনা :-
জাতীয় নাট্যশালার মূল হল, নাটক মঞ্চায়নের জন্য বিবেচ্য নাট্যদলকে ১শিফটে একটি প্রদর্শনী করার জন্য বরাদ্দ দেয়া হবে। মিলনায়তন বরাদ্দ চূড়ান্ত করার সময় বরাদ্দপ্রাপ্ত দলকে অবশ্যই তাদের উপস্থিত সদস্যবৃন্দের তালিকা সংগঠনের প্যাডে লিখিতভাবে নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগের দপ্তর কক্ষে জমা প্রদান করতে হবে। উক্ত তালিকা মিলনায়তন ব্যবহারের নির্ধারিত দিনে সকল গেটে প্রবেশ নিয়ন্ত্রণের জন্য সরবরাহ করা হবে। জাতীয় নাট্যশালার মূল গেটে দর্শক প্রবেশের জন্য নাটক প্রদর্শনীর ২ ঘন্টা পূর্বে খুলে দেয়া হবে। হল বরাদ্দ ব্যতিত জাতীয় নাট্যশালার মূল গেট খোলা হবে না।
জাতীয় নাট্যশালার মূল হলে যেসব সংগঠন/দল নাটক মঞ্চায়ন করবে, ২ টি মহড়া কক্ষ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বরাদ্দ দেয়া হবে। মিলনায়তন ব্যবহারকারী নাট্যদল মহড়া কক্ষ ব্যবহার করতে না চাইলে, অন্যদলকে কেবল নাটকের মহড়ার জন্য বরাদ্দ দেয়া হবে। সেক্ষেত্রে বরাদ্দ প্রাপ্ত দলকে অবশ্যই সদস্যবৃন্দের তালিকা সংগঠনের নিজস্ব প্যাডে লিখিতভাবে নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগের দপ্তর কক্ষে প্রদান করতে হবে।
মূল গেট দিয়ে কেবল বরাদ্দ প্রাপ্ত সংগঠনের সদস্য, মহড়াকক্ষ ব্যবহারকারী সংগঠনের সদস্য, শিল্পকলা একাডেমির স্টাফ, সেনাসদস্য এবং টিকেট/আমন্ত্রণপত্র প্রদর্শনী সাপেক্ষে দর্শনার্থী প্রবেশ করতে পারবেন। কোনক্রমেই টিকেট/আমন্ত্রণপত্র/ দর্শনার্থী প্রবেশ করতে পারবে না। সাংবাদিকগণ অফিস পরিচয়পত্র প্রদর্শন করে প্রবেশ করতে পারবেন। জাতীয় নাট্যশালার মূল হল ও মহড়া কক্ষ ব্যবহারকারী নাট্যকর্মী, সাংবাদিক ও টিকেট/আমন্ত্রণপত্রধারী দর্শনার্থীদের যানবাহন নির্ধারিত সময়ে নাট্যশালার নিচতলার পার্কিং ব্যতিত অন্য কোথাও পার্কিং করা যাবে না।
জাতীয় নাট্যশালার মূল থিয়েটার হল ব্যবহারের জন্য নাট্যসংগঠনগুলো অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।