ডেস্ক রিপোর্ট: অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে রাষ্ট্র সংস্কারের বিষয়ে আলোচনা করেছে বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল। গত শনিবার প্রথম দিনে বিএনপি, জামায়াতসহ বেশ কিছু রাজনৈতিক দল ও জোটের প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠক করেছে সরকার। আগামী ১৯ অক্টোবর ফের সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে, কিন্তু এই সংলাপে ডাক পাচ্ছে না জাতীয় পার্টি (জাপা)।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই বিষয়ে আলোচনা চলছিল এবং অনেকেই জাতীয় পার্টিকে আওয়ামী লীগের স্বৈরাচারিতার সহযোগী হিসেবে বিবেচনা করে সংলাপে না ডাকার আহ্বান জানান। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) রাতে তার ভেরিফায়েড ফেসবুক প্রফাইলে এক পোস্টের মাধ্যমে জানান, “আমাদের দাবির প্রেক্ষিতে ফ্যাসিবাদের সহযোগী জাতীয় পার্টিকে সংলাপে ডাকা হচ্ছে না।”
এদিকে, গত সোমবার হাসনাত ফেসবুকে লেখেন, “স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টিকে সংলাপে আমন্ত্রণ জানানো হলে, আমরা সেই আত্মঘাতী সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ ও কঠোর বিরোধিতা করব।” তার এই মন্তব্যের মাধ্যমে ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ জাতীয় পার্টির প্রতি তাদের বিরোধী অবস্থান স্পষ্ট করেছেন।
অন্যদিকে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আরেক সমন্বয়ক সারজিস আলমও সামাজিক মাধ্যমে এই বিষয়ে নিজের মতামত প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, “জাতীয় পার্টির মতো মেরুদণ্ডহীন ফ্যাসিস্টের দালালদের প্রধান উপদেষ্টা কিভাবে আলোচনায় ডাকেন?”
এতে বোঝা যাচ্ছে যে, ছাত্র আন্দোলনের নেতারা জাতীয় পার্টির প্রতি তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করে এবং তাদেরকে সরকারী আলোচনার অংশ হিসেবে দেখার বিরুদ্ধে সোচ্চার হচ্ছেন।