বরিশাল প্রতিনিধি ॥ বরিশাল নগরীর দুটি পৃথক স্থান থেকে দুটি মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার, দক্ষিণ আলেকান্দা এলাকার একটি পুকুর থেকে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। স্থানীয়দের মতে, বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে পুকুরে ভাসমান অবস্থায় মরদেহটি দেখতে পান তারা। নিহতের নাম জাকির হোসেন (৪৫), তিনি নগরীর রুপাতলী সোনারগাও টেক্সটাইল সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা হারুন সিকদারের ছেলে এবং খান রোডের কালুখান বাড়ির ভাড়াটিয়া ছিলেন।

জাকিরের পরিচিতজনদের মধ্যে কেউ কেউ দাবি করেছেন যে তিনি প্রতিবন্ধী ছিলেন, আবার কেউ বলছেন তিনি গাড়ির চালক ছিলেন। তবে তাঁর মৃত্যুর সঠিক কারণ এখনও জানা যায়নি।

বরিশাল মেট্রোপলিটনের কোতয়ালি মডেল থানার এস আই মো. আহসান জানান, স্থানীয়রা বিষয়টি থানায় জানালে পুলিশ পুকুর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে।

এদিকে, বরিশাল সদর উপজেলার সাপানিয়া গ্রামের একটি ডোবা থেকে অজ্ঞাত যুবকের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে বরিশাল সদর উপজেলার চরবাড়িয়া ইউনিয়নের সাপানিয়া গ্রামের মেম্বার বাড়ির পাশের ডোবা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে মেট্রোপলিটনের কাউনিয়া থানার এসআই মো. নাইম আহমেদ জানান, এই যুবকের মরদেহটি প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে যে মাসখানেক আগে মারা গেছে। তবে এটি হত্যা নাকি অন্যকিছু সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেতে হবে।

তিনি বলেন, মরদেহের পরিচয় শনাক্তে থানায় বার্তা দেওয়া হয়েছে। যদি পরিবারের খোঁজ না পাওয়া যায়, তবে আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলামের মাধ্যমে দাফন করা হবে। স্থানীয়দের মধ্যে উভয় ঘটনার নিয়ে উদ্বেগ এবং শঙ্কা দেখা দিয়েছে। পুলিশ এ বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে এবং মৃত্যুর কারণ এবং পরিচয় শনাক্ত করতে চেষ্টা চালাচ্ছে।

এখন পর্যন্ত নিহতদের পরিচয় এবং মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে পরিষ্কার কোনো তথ্য আসেনি, তবে পুলিশ স্থানীয়দের থেকে তথ্য সংগ্রহ করতে এবং ঘটনার সবদিক বিবেচনা করতে সচেষ্ট রয়েছে। উভয় ঘটনার তদন্তে পুলিশ প্রশাসনের তৎপরতা অব্যাহত থাকবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *