মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) কেন্দ্রীয় সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ছাত্রজনতার গণঅভুত্থানে গত ৫ আগস্টের বিপ্লবের পর ড. ইউনুসের সরকার দায়িত্ব নিয়েছে। তিনি বলেন, "তাদের উপর জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে। আমাদেরও এই সরকারের প্রতি আস্থা আছে। দ্রুত সংস্কার কাজ শেষ করে গণতন্ত্রের চর্চাকে সামনে রেখে গণতন্ত্র রক্ষায় অনতিবিলম্বে দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন দিন।"
রবিবার (৬ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১১টায় মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার বাসিন্দা ভারতীয় বিএসএফ-এর গুলিতে নিহত কিশোরী স্বর্ণা দাসের পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ করতে এসে খাগটেকা বাজারে সুধী সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। 'আমরা বিএনপি পরিবার' কর্তৃক আয়োজিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন কাতার বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির উপদেষ্টা শরিফুল হক সাজু।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি পরিবারের উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন বকুল, আলমগীর কবীর, আহবায়ক আতিকুর রহমান রুমন এবং মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি নাসির উদ্দিন আহমেদ মিঠু। এছাড়া সিলেট ও মৌলভীবাজার জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
রুহুল কবির রিজভী এ সময় বিএসএফের গুলিতে নিহত স্বর্ণা দাসের পরিবারের হাতে আর্থিক অনুদান তুলে দেন। তিনি স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সীমান্তে লাশের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার কথা উল্লেখ করে বলেন, "ভারতের হাতে বানানো গোলাম শেখ হাসিনা দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।"
তিনি আরো বলেন, "ফেলানীর মতো সীমান্তে স্বর্ণা দাসকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে বিএসএফ। সীমান্তে এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে অন্তবর্তীকালীন সরকার কেন উদাসীন? একটি নিষ্পাপ কিশোরী মেয়েকে হত্যার বিরুদ্ধে কেন প্রতিবাদ জানানো হলো না?"
রিজভী অভিযোগ করেন, বিএসএফ সীমান্তে হিন্দু কিংবা মুসলমান দেখেও গুলি করে না; তাদের মূল টার্গেট হলো বাংলাদেশীরা। তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানান, সীমান্ত হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্রতিবাদ জানাতে।